নাম জসির বিলাল ওয়ানি, ওরফে দানিশ৷ এই দানিশ দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত উমর নবির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা৷ সূত্রের খবর, গত ১০ নভেম্বর বিস্ফোরণ ঘটনোর পিছনে এই ওয়ানিরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷
advertisement
এদিন এনআইএ-র আইনজীবী ওয়ানিকে হেফাজতে চাওয়ার আর্জি করে আদালতে জানান, তাঁরা ওয়ানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই নাশকতার পিছনে থাকা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ও ষড়যন্ত্রীদের হদিস পেতে চায়৷
দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণ কাণ্ডে ওয়ানির ভূমিকাও বিশদে আদালতে ব্যাখ্যা করেন এনআইএ-র আইনজীবী৷ জানান, এই ওয়ানি আসলে একজন ড্রোন এক্সপার্ট এবং প্রিসিশন রকেট বানানোর বিষয়ে বিশেষ পারদর্শী৷
এনআইএ আধিকারিকদের মতে, হরিয়ানারা ফরিদাবাদের ‘চিকিৎসক মডিউলকে’ প্রযুক্তিগত জিনিসপত্র সরবরাহ করত এই দানিশ৷ যেমন, হামলার আগে প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে ড্রোন তৈরি করে দেওয়া৷ ইম্প্রোভাইসড রকেট মেকলানিজম তৈরি করা৷ টেকনিক্যাল দিক থেকে এই ওয়ানি দুর্দান্ত কাজ জানত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা৷
জসির ওয়ানি৷
প্রসঙ্গত, এই ওয়ানিও কাশ্মীরের বাসিন্দা৷ সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছেন এনআইএ তদন্তকারীরা৷ জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার কাজিগুন্দে বাড়ি জসির ওয়ানির৷
দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে একে একে সামনে আসছে বিভিন্ন তথ্য৷ এগোচ্ছে তদন্ত৷ ধরা পড়ছে চিকিৎসক মডিউল ঘনিষ্ঠ একের পর এক ব্যক্তি৷ সম্প্রতি আত্মঘাতী বিস্ফোরণের কারিগর উমর নবির একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে তাকে আত্মঘাতী হামলার পক্ষে কথা বলতে দেখা গিয়েছে৷ অন্যদিকে, হামলার ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে ধৃত মহিলা চিকিৎসক সাহিন সইদ ও অপর ধৃত ড. মুজাম্মিল সম্পর্কেও একটি নতুন তথ্য সামনে এসেছে৷ জানা গিয়েছে, গত মাসেই নগদ টাকা দিয়ে এই দু’জন একটি গাড়ি কিনেছিল৷ এই টাকা কোথা থেকে এসেছিল, কেন এই গাড়ি কেনা হয়েছিল, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা৷
