অভিযুক্ত যাত্রী মত্ত অবস্থায় বিমানবন্দরেই প্রস্রাব করতে শুরু করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি দিল্লি বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনালে দমনগামী বিমান ধরতে এসেছিলেন জনৈক জোহর আলি খান। মত্ত অবস্থায় ছ’নম্বর ফটকের সামনে প্রকাশ্যে তাঁকে প্রস্রাব করতে দেখে কয়েকজন তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করেন। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই তৎপর হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরের সুরক্ষার কাজে নিযুক্ত পুলিশ জোহরকে গ্রেফতার করে। পরে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনে মুক্তি পান জোহর।
advertisement
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ টাকা ডাকাতি বাংলায়, আর ডাকাতের পরিচয়? শুনেই চমকে উঠল খোদ পুলিশও
এটাই প্রথম নয়। ক'দিন আগে ৭০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধা সম্প্রতি টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনকে চিঠি লেখেন। চিঠিতে জানান, ২৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী বিমানে তিনি ছিলেন। মত্ত অবস্থায় সেই বিমানেই ওঠেন এক যুবক। মধ্যাহ্নভোজনের পর আচমকা তাঁর সামনে এসে প্যান্টের জিপ খুলে প্রস্রাব করেন। প্রস্রাবের পরেও ওই অবস্থায় তিনি দাঁড়িয়ে থাকেন। ঘটনাটি বিমানকর্মীদের তড়িঘড়ি করে জানান বৃদ্ধা। জানান, তাঁর পোশাক এবং বসার জায়গা ভিজে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: অবশেষে সামনে এল ছবি, আদিল খানকে বিয়ে করার দাবি রাখি সাওয়ান্তের!
পরে বিমানকর্মীদের সহযোগিতায় তাঁকে পোশাক ও জুতো দেওয়া হয়। সিট পরিষ্কার করার পর তাঁকে বসতে দেওয়া হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি বিমান চালককে জানানো উচিত ছিল। বিশেষত, বিমান থেকে নামার পর যুবককে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়াও উচিত ছিল। বিমানকর্মীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রস্রাব করেছিলেন শঙ্কর মিশ্র নামের এক যাত্রী। যা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলেছে বেশ কয়েকদিন। ওই ঘটনার বেশ কয়েক দিন পর বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করে শঙ্করকে। একটি আমেরিকার বহুজাতিকে চাকরি করতেন শঙ্কর। ঘটনার অভিঘাতে সেই চাকরিও যায় তাঁর। এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমানে কর্তব্যরত কর্মীদেরও বসিয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার প্রস্রাব-কাণ্ড।
রাজীব চক্রবর্তী
