বিশ্বের উন্নত দেশগুলি বরাবরই ভারতকে নকল ওষুধের গুদামঘর হিসেবে চিহ্নিত করে এসেছে। বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে বহু যুগ ধরেই। দেশজুড়ে দেদার বিক্রি হচ্ছে নকল ওষুধ! বিশেষত মারণ রোগ ক্যান্সার ও লিভারের অসুখের ভুয়ো ওষুধের রমরমা ব্যবসা চলছে দেশজুড়ে। এমনকি বাদ যায়নি সাধারণ অ্যান্টাসিড-ও। এ বিষয়ে নজরদারি চালাতে সম্প্রতি সমস্ত রাজ্যকে পরামর্শ দিয়েছে ‘ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া’ বা ডিসিজিআই।
advertisement
আরও পড়ুন: হুহু করে কমে সুগার! নিমেষেই ঝরে মেদ, ঝিঙের এই সব উপকারিতার কথা জানতেন?
কেন্দ্রীয় সরকারের এই সংস্থাটি জানাচ্ছে যে, দেশে লিভারের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ ‘ডিফিটেলিও’ এবং ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইনজেকশন ‘অ্যাডসেট্রিস’ -এর চারটি ভিন্ন ভিন্ন নকল রূপ বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে। মারণ রোগের চিকিৎসায় এমন নকল ওষুধ রুখতে রাজ্য সরকারগুলিকে সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছে ডিসিজিআই।
এখন প্রশ্ন, হঠাৎ ডিসিজিআই-এর নজরে কীভাবে এল এই নকল ওষুধ? আসলে সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO এই নকল ওষুধগুলোকে চিহ্নিত করে সতর্কতা জারি করেছিল। তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে ভারতের ওষুধ নিয়ামক সংস্থা ডিসিআই। নকল ‘অ্যাডসেট্রিস’ ইনজেকশনটি ভারত সহ চারটি দেশে অনলাইনেও বিক্রি হয়।
আরও পড়ুন:পেনশন হিসাবে পান এক লক্ষ টাকা, তার উপর বই বিক্রি.. বেতন না নেওয়ার কারণ নিজেই জানালেন মমতা
WHO জানাচ্ছে, গোটা বিশ্বের ২০ শতাংশ ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তি ভারতীয়। এই রোগে প্রত্যেক বছর ৭৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। লিভারের রোগে প্রতিবছর ভারতে দু’লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। লিভার ও ক্যান্সারের এই দুই ওষুধ ছাড়াও নামি কোম্পানির তৈরি জনপ্রিয় অ্যান্টাসিডকেও বাতিলের খাতায় রাখতে পরামর্শ দিয়েছে ডিসিজিআই। সম্প্রতি চিকিৎসক এবং রোগীদের জন্য এই সম্পর্কিত একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে ওই সংস্থার তরফে।
একটি নামী কোম্পানির ‘ডাইজিন’ নামক অ্যান্টাসিডের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করা হয়েছে ডিসিজিআই-য়ের তরফে। চিকিৎসকদের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, এখন থেকে প্রেসক্রিপশন লেখার ক্ষেত্রে ওষুধ নির্বাচনে সতর্ক থাকুন চিকিৎসকেরা। গোয়ায় তৈরি নামী কোম্পানির অ্যান্টাসিড ‘ডাইজিন জেল’-এর ব্যবহার অবিলম্বে বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে ডিসিজিআই।