ফোন পাওয়ার পরেই দক্ষিণ দিল্লির রাস্তায় থাকা বেশ কয়েকটি পিসিআর ভ্যান দ্রুতগামী গাড়িটিকে ধাওয়া করে। তবে অফিসাররা যে গাড়িটি ধাওয়া করছিলেন একটা সময়ের পর সেটির আর হদিশ পাওয়া যায়নি। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনাটির কোনও নির্দিষ্ট তথ্য পায়নি পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ গরমের দুপুরে কে কত আগে শেষ করতে পারে এক প্লেট আম? ব্যাস জিতলেই কেল্লাফতে
advertisement
জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, এই ঘটনার পর কোনও মহিলার নিখোঁজ বা অপহৃত হওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশের অনুমান, পরিচিতদের মধ্যে বিবাদের জেরে এরকম ঘটনাটি ঘটতে পারে। পুলিশের দাবি, ঘটনাটি সাউথ এক্সটেনশন পার্ট ১-এ প্রায় রাত ১২.৩৫ নাগাদ ঘটে।
এক দল ছাত্র একটি ধূসর রঙের হুন্ডাই i20 গাড়ি দেখতে পান। যার ভিতরে দু’জন পুরুষ এবং দু’জন মহিলাকে দেখতে পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের কথায়, একজন ব্যক্তি গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এবং সামনের সিটে একজন মহিলা তাঁর পাশে বসেছিলেন। পিছনের সিটে বসেছিলেন আরও একজন পুরুষ ও মহিলা।
উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) চন্দন চৌধুরী বলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। তাঁদের কথায় পিছনে থাকা মহিলাটি গাড়ি থেকে নামতে চাইছিলেন, কিন্তু তাঁর পাশের লোকটি তাঁকে নামতে বাধা দিচ্ছিলেন। সামনের সিটে বসা মহিলা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন।”
ডিসিপি জানান, ছাত্ররা গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু গাড়িটি আইএনএ-র দিকে চলে যায়। একজন ছাত্রী গাড়ির নম্বরটি নোট করেন এবং পুলিশকে জানান। তবে ওই নম্বরের কোনও গাড়ির রেকর্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকার একটি পিসিআর গাড়ি একই ধরনের গাড়ির নম্বরটি নোট করে। এটি হরিয়ানার নম্বর এবং পুলিশের রেডিও স্ক্যানারে এই বিষয়ে সতর্কতামূলক বার্তা পাঠানো হয়েছিল। সেই বার্তা পাওয়ার পরে, এলাকায় তিনটি পিসিআর ভ্যান একই ধরনের বর্ণনার একটি গাড়ি দেখতে পায়। প্রায় রাত ১ টার দিকে আইএনএ থেকে সফদারজংয়ের দিকে ধাওয়া করা শুরু করে তাঁরা।
একজন পুলিশ অফিসার বলেছেন, ‘একটি গাড়িকে, সম্ভবত মারুতি সেলেরিও বা হুন্ডাই i10, একটি ক্যামেরায় প্রায় ১২.৩৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে দেখা গেছে। গাড়িটির দরজা খোলা ছিল এবং একজন সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের সন্দেহ যে সাউথ এক্সটেনশনের গাড়ি এবং পিসিআর ভ্যানটি যে গাড়িটি অনুসরণ করেছিল তা একই। তবে কোনও নিশ্চিত প্রমাণ নেই। অনুমান শিক্ষার্থীরা তাড়াহুড়োয় গাড়ির নম্বর সঠিকভাবে লিখে রাখতে পারেননি।’