শিশুটি কয়েকদিন আগে আন্তোপ হিল এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিল। শিশুর মা নাজিয়া, একজন গৃহপরিচারিকা, এবং সৎপিতা ইমরান শেখ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। পুলিশ প্রথমে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রুজু করে। কিন্তু এরপর তদন্তে ধীরে ধীরে উঠে আসে সন্দেহজনক তথ্য।
advertisement
পুলিশ আন্তোপ হিল ও আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। ফুটেজে দেখা যায়, শিশুটিকে শেষবার দেখা গেছে ইমরান শেখের সঙ্গে। এখান থেকেই পুলিশ তার গতিবিধির উপর নজর রাখে। সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।
শেষপর্যন্ত যখন শিশুর দেহ সাসুন ডকে উদ্ধার হয়, তখন ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। জেরা চলাকালীন সে নিজের অপরাধ স্বীকার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইমরান স্বীকার করেছে যে, স্ত্রীর সঙ্গে একান্ত সময় কাটাতে তার সৎকন্যার উপস্থিতি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। এক রাতে, শিশুটি মোবাইল ফোনে খেলা করছিল এবং সেই আচরণে সে আরও রেগে যায়। রাগের মাথায় সে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং পরে গোপনে আরব সাগরে দেহ ফেলে দেয়।
এই বীভৎস অপরাধের পর ইমরান শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এই ঘটনা মুম্বই শহরে চরম আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। একটি নিষ্পাপ শিশুর এমন করুণ পরিণতি সমাজকে ফের একবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল — যখন ঘরই আর নিরাপদ নয়, তখন শিশুরা কোথায় যাবে?