মৃত সঞ্জীব মিশ্রের বয়স ৪৫, স্ত্রী নীলমের বয়স ৪২ ও তাঁদের দুই সন্তান আনমোল ১৩ ও সার্থক ৭ বছরের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্তানদের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে খুবই মানসিক চাপে ছিলেন বাবা-মা। আত্মঘাতী হওয়ার আগে ট্যুইটারে সেই মানসিক পরিস্থিতির কথাও লিখেছিলেন বিজেপি কর্পোরেটর সঞ্জীব মিশ্র।
আরও পড়ুন: সামনেই মাধ্যমিক, অঙ্কে দুর্দান্ত রেজাল্ট করতে টিপস দিলেন রামকৃষ্ণ মিশনের শিক্ষক
advertisement
তিনি লিখেছেন, 'ঈশ্বর যেন শত্রুদের সন্তানকেও রোগভোগ না দেন... আমি সন্তানদের বাঁচাতে পারলাম না, আমি আর বাঁচতে চাই না।' বিদিশা এলাকার পুলিশ স্টেশনে এই ঘটনার পরই একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। বাড়ির দরজা ভেঙে চারটি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে জীবনবিজ্ঞানে সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া যাবে কী ভাবে? টিপস দিলেন নাম করা শিক্ষক
দুই সন্তানই মাসকুলার ডিসট্রফি নামে এক ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। এতে শরীরের নীচের অংশ থেকে মাংসপেশি অকেজো হতে শুরু করে। মাসকুলার ডিসট্রফির মতো মারণ রোগের কোনও ওষুধ এখনও সে ভাবে নেই। একদিন হয়তো হৃদযন্ত্রের মাংসপেশিও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সব কিছু জেনেও কিছু করার থাকে না।
