TRENDING:

সরকারের বিরুদ্ধে বনধ ডাকল জোটসঙ্গীই! ত্রিপুরায় হিমশিম অবস্থা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

Last Updated:

রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি৷ সেই দলের জোট সঙ্গী পার্টি বিধায়কের সংগঠনের বনধ ডাকাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতর জারি ত্রিপুরায়৷ মার খেয়েছেন বিডিও ও পুলিশ আধিকারিকরা৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আগরতলা: রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি৷ সেই দলের জোট সঙ্গী পার্টি বিধায়কের সংগঠনের বনধ ডাকাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতর জারি ত্রিপুরায়৷ মার খেয়েছেন বিডিও ও পুলিশ আধিকারিকরা৷ এই অবস্থায় প্রশাসন কতটা কঠোর, তা বোঝাতে ময়দানে নামেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। শান্তিরবাজারে নৃশংস হামলার ঘটনায় যুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার।
* জোটসঙ্গী দলের বিধায়কের আচরণকে ভালো চোখে দেখছে না বিজেপি
* জোটসঙ্গী দলের বিধায়কের আচরণকে ভালো চোখে দেখছে না বিজেপি
advertisement

আরও পড়ুন: এক্সপ্রেস ট্রেনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! যাত্রী ভর্তি ট্রেনে দাউ দাউ করে আগুন, পুড়ে ছাই একাধিক কামরা

তিনি জানান, ত্রিপুরা বনধের আন্দোলন আন্দোলনের নামে একটা কলঙ্ক, এই হামলায় জড়িত অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে পুলিশ আইন মেনে যা যা করার সেটা অবশ্যই করবে। শান্তিরবাজারের ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে গিয়ে আজ জিবি হাসপাতালে সংবাদ মাধ্যমকে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। উল্লেখ্য, ভাইফোঁটার দিন বিভিন্ন ইস্যুতে সিভিল সোসাইটি অফ ত্রিপুরা ডাকে আয়োজিত ত্রিপুরা বনধের দিনে কমলপুর মহকুমার শান্তিরবাজারে হামলার অভিযোগ উঠে। এই ঘটনায় একাধিক সরকারি আধিকারিক সহ গুরুতর জখম হন বেশ কয়েকজন। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তিপ্রা মথার নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। এনিয়ে গতকালই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। পুরো ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান তিনি।

advertisement

আরও পড়ুন: পিতার সম্পত্তিতে ছেলেমেয়ের সমান অধিকার থাকলেও একটা শর্তে কিচ্ছু পাবেন না কন্যারা, জানাল হাই কোর্ট

মুখ্যমন্ত্রী জানান, গতকাল রাতে ধলাই জেলার সুরমা বিধানসভার শান্তিরবাজার এলাকায় ‘সিভিল সোসাইটি অফ ত্রিপুরা’-র নামে তিপ্রা মথার কর্মীরা একটি নৃশংস ও পরিকল্পিত হামলা চালায়। এই ঘটনায় সালেমা ব্লকের বিডিও অভিজিৎ মজুমদার, ইঞ্জিনিয়ার অনিমেষ সাহা এবং ব্যবসায়ী সুব্রত পাল গুরুতরভাবে আহত হন। আহতদের প্রথমে কমলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই আমি নির্দেশ দিই যাতে দ্রুত তাদেরকে জিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পেশায় দিনমজুর আদিবাসী বৃদ্ধের ভুবন ভোলানো প্রতিভা! নিজের কানেই শুনুন
আরও দেখুন

এরপর আজ সকালে জিবি হাসপাতালে গিয়ে তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা। সেই সঙ্গে হাসপাতালে উপস্থিত তাদের পরিবারবর্গ ও ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী কঠোর ভাষায় বলেন, সরকার এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন আইনের পথে চলবে। সংবাদ মাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, এই ঘটনা সত্যি অর্থে অবর্ণনীয়। ডান্ডা, রড, গুলতি নিয়ে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে সেটা আন্দোলনের নামে একটা কলঙ্ক। শুনেছি যে, গলার হার পর্যন্ত ছিনতাই করা হয়েছে। এটা কোন ধরণের আন্দোলন? ঘটনার জেরে আইন মেনে পুলিশ যা করার করবে। অভিযুক্তদের শাস্তি অবশ্যই হবে। প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। গোটা ঘটনায় অন্তত বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এধরণের বর্বরোচিত ঘটনা জাতি জনজাতি কেউ মেনে নেবে না। আগামীদিনে ওদেরকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
সরকারের বিরুদ্ধে বনধ ডাকল জোটসঙ্গীই! ত্রিপুরায় হিমশিম অবস্থা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল