নামিবিয়া থেকে আনা চিতাগুলির খাদ্য হিসাবে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে সরবরাহ করা হচ্ছে চিতল হরিণ, এমনটাই দাবি বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের। চিতল হরিণ বিলুপ্তপ্রায়। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে বন্যপ্রাণী হত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান করা এই সম্প্রদায়। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিষয়টি বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সর্বভারতীয় বিষ্ণোই মহাসভার প্রধান জানিয়েছেন, চিতাদের জন্য হরিণ পাঠানোর খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক। চিতা দেশ থেকে অনেক আগে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে, সরকার তাদের বাইরে থেকে আনিয়েছে। অথচ, যে বন্যপ্রাণীরা দেশে বিলুপ্তির মুখে, তাদের সংরক্ষণের কোনও চেষ্টাই করা হচ্ছে না।
advertisement
আরও পড়ুন: নারকীয় কাণ্ড উত্তরপ্রদেশে! ১৫ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে দিল দুষ্কৃতীরা
শনিবার সকালে ভারতীয় সেনার তত্ত্বাবধানে বিশেষ বিমানে নামিবিয়া থেকে মোট আটটি চিতা এসে পৌঁছয় গোয়ালিয়র বিমানবন্দরে৷ তার পর সেখান থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার এমআই-১৭ হেলিকপ্টারে তাদের পাঠানো হয় কুনো জাতীয় উদ্যানে৷ প্রথমে ঠিক হয়েছিল তারা কুনো জাতীয় উদ্যানে পৌঁছবে ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুক হেলিকপ্টারে৷ কিন্তু যদি শব্দের কারণে তাদের অসুবিধে হয়, সেকথা চিন্তা করে চিনুকের বদলে বেছে নেওয়া হয় এমআই-১৭ হেলিকপ্টার৷
প্রসঙ্গত ভারতে একসময় বাস ছিল এশিয়াটিক চিতা-র৷ কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে৷ ভারতে শেষ জীবিত চিতা মারা যায় আজকের ছত্তীসগঢ়ের কোরীয়া জেলায়৷ ১৯৫২ সালে পুরো প্রজাতি নিশ্চিহ্ন বা বিলুপ্ত হয়ে যায় এ দেশে৷ ৭০ বছর পর আবার ক্ষিপ্র ও দ্রুততম চতুষ্পদের পা পড়ল ভারতে৷ এই প্রকল্পে ভারতে চিতা পাঠানোর জন্য নামিবিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান নরেন্দ্র মোদি৷
আরও পড়ুন: পুজোর মজা এবার দুগুণ, দেশ জুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ এক লাফে অনেকটাই কম
তবে বিশেষজ্ঞদের সাবধানবাণী, নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে সমস্যা হতে পারে নামিবিয়া থেকে আগত চিতাদের৷ তাছাড়া কুনো জাতীয় উদ্যানে ইতিমধ্যেই প্রচুর লেপার্ড বা চিতাবাঘ রয়েছে৷ বিলুপ্তপ্রায় চিতা সারা পৃথিবীতে বর্তমানে আছে ৭ হাজারটি৷ মূলত আফ্রিকার সাভানা তৃণভূমিতেই তাদের বাস৷ অন্যদিকে ভারতে ব্যাঘ্র প্রকল্প আছে মোট ৫২ টি৷ ১৮ রাজ্যে প্রায় ৭৫ হাজাক বর্গকিমি এলাকা জুড়ে এই অভয়ারণ্যগুলিতে বাস বিশ্বের বন্য বাঘের প্রায় ৭৫ শতাংশের৷