পুলিশ এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে। বিহার পুলিশের সদর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে বাকিদের গ্রেফতারের জন্য আরও তদন্ত চালানো হচ্ছে। মদ নিষিদ্ধ রাজ্যে এইরকম মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায় প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুনঃ বাড়ছে মৃত্যুহার, গতি বাড়িয়েছে সংক্রমণও! ভারতে ফের কি শুরু হবে করোনার রাজত্ব?
advertisement
এই মৃত্যু মিছিল নিয়ে সাংবাদিকদের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়েছেন “এটি একটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমি এ বিষয়ে সব তথ্য চেয়েছি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।”
বিহার পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘জেলা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে অবৈধ মদের ব্যবসায় জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। আবগারি দফতরের আধিকারিকরাও ঘটনার তদন্ত শুরু করছেন।” ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে আশা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ রবিবার সিবিআই ডেরায় কেজরিওয়াল! 'গ্রেফতার হতে পারি ', বিরাট আশঙ্কা
বিহারে বিষ মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এপ্রিল ২০১৬-এ মদ বিক্রি এবং সেবন নিষিদ্ধ করার পর বিহারের ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সারান জেলায় বিষ মদ খেয়ে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় সারান জেলার ইসুয়াপুরের স্টেশন হাউস অফিসার-সহ চারজনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। বিরেধীদের দাবি, যদিও ছ-বছর হয়ে গেছে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছে বিহারে কিন্তু রাজ্যে মদের পাচার এখনও অব্যাহত রয়েছে।
যদিও, বিষ মদ কান্ড নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার শুক্রবার বলেছেন যে বিহারে বিষ মদের কারণে মৃত্যু অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কম।