আগামী ২৯ এপ্রিল এই পদযাত্রা বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের পাশাপাশি বিজেপির আইনজীবী সেলের সদস্যরা যোগ দেবেন এই কর্মসূচিতে। যন্তর-মন্তর থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত পদযাত্রা করবে বিজেপি নেতৃত্ব। ইন্ডিয়া গেটের সামনে ধর্ণা বিক্ষোভের পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করারও কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির।
আরও পড়ুন : জেলে গেলে প্রাণে বাঁচবেন, নইলে..." অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে 'বিস্ফোরক' মন্তব্য দিলীপ ঘোষের!
advertisement
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শুক্রবারে দিল্লি পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ৩০ এপ্রিল প্রধান বিচারপতিদের একটি কনফারেন্সে যোগ দেবেন তিনি। সেই সম্মেলনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই এবং এবং নদীয়ার হাঁসখালির গণধর্ষণের ঘটনার পর রাজ্যের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অভিযোগ তুলে সরব বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই দুই জায়গাতেই তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। দুই জায়গার রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘুরে এসে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দেওয়া রিপোর্টে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি করা হয়েছে। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার অভিযোগ তুলে ৩৫৫, ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ এর দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। যদিও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একাধিকবার জানিয়েছেন কোন নির্দিষ্ট ধারার কথা তিনি বলেননি। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : এবার নিউটাউনের রাস্তা কাঁপাবে ই-বাস! কবে থেকে চালু? ভাড়া কত? জেনে নিন রুট...
তবে গত বাজেট অধিবেশনে বিজেপি সাংসদরা সংসদে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের দাবি করেছেন বঙ্গ বিজেপি সাংসদরা। এছাড়াও অপরাধী সনাক্তকরণ বিলের জবাবি ভাষণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে বলেন বাংলায় গেলে খুন হয়ে যেতে হবে। যদিও তার সেই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে তৃণমূল।
রাজ্য সরকারকে বিরক্ত করতে বিজেপি নেতৃত্ব বারবার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলছেন বলে পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূল। দলীয় নেতৃত্বের দাবি নির্বাচনে জয়লাভ করতে না পেরে পিছনের দরজা দিয়ে রাজ্য প্রশাসনের অন্তরে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চক্রান্ত করছে বিজেপি।