অনুপমা কংগ্রেসের মহিলা শাখার জাতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং রীতু বিজেপির মহিলা শাখার রাজ্য সভাপতি।
আরও পড়ুন- 'পাকিস্তানের সমর্থক', ‘জিন্নার উপাসক’! অখিলেশকে আক্রমণ যোগীর
মজার বিষয় হল, রীতু যে কোটদ্বার থেকে প্রার্থী হয়েছেন সেই একই আসনে তাঁর বাবা বিসি খান্দুরি ২০১২ সালে কংগ্রেসের কাছে হেরেছিলেন। সেই বছরে জয়ী কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী সুরেন্দ্র নেগির সঙ্গে লড়াই করবেন রীতু (Uttarakhand Assembly Election)।
advertisement
পাউরি গাড়ওয়াল জেলা সংলগ্ন যমকেশ্বর আসনের বর্তমান বিধায়ক রীতুকে কোটদ্বার থেকে প্রার্থী করা হয়েছে যেখানে জিততে পারে বেশ কঠিন বলেই ভাবছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
“আমি সেই দলের কর্মী যার একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক রয়েছে। আমি বিধায়ক হিসাবে কাজ করেছি এবং আমি কোটদ্বারে জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত,” নিউজ ১৮ কে বলেন রীতু। বাবা বিসি খান্দুরির পরাজয়ের ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার পরিকল্পনাতেই এই নির্বাচনে (Uttarakhand Assembly Election) লড়া কী না জানতে চাওয়া হলে রীতু বলেন, “অবশ্যই! আমি এখানে ‘জায়ান্ট কিলার’ হিসেবেই লড়ছি।”
অনুপমা গত সাত বছর ধরে হরিদ্বারে (গ্রামীণ) কাজ করে চলেছেন। ২০১৭ সালের নির্বাচনে, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত হরিদ্বার (গ্রামীণ) সহ দু’টি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। বিজেপির স্বামী যতিশ্বরানন্দের কাছে এই আসনটি হেরে গিয়েছিলেন তিনি।
“কংগ্রেস কখনও হরিদ্বার (গ্রামীণ) থেকে জেতেনি। ভোটাররা অবশ্য দেরিতে বুঝতে পেরেছিলেন যে আমার বাবাকে হরিশ রাওয়াতকে পরাজিত করাটা ভুল ছিল। উন্নয়নের দিক থেকে এটি একটি পিছিয়ে পড়া নির্বাচনী এলাকা। আমি নিশ্চিত ভোটাররা এবার কংগ্রেসকে নির্বাচিত করবে,” বলেন অনুপমা।
আরও পড়ুন- চন্নি না সিধু, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী কে? "সিদ্ধান্ত নেবে দলই" জানালেন রাহুল
কতখানি কঠিন হতে চলেছে এই লড়াই? হরিদ্বার (গ্রামীণ) প্রায় ৫০ শতাংশ মুসলিম, তপশীলি জাতি এবং উপজাতির ভোটার নিয়ে গঠিত। এছাড়া পাহাড়ি ভোটারদের হাতেও রয়েছে নির্ণায়ক হওয়ার চাবিকাঠি। গত চারটি নির্বাচনে বহুজন সমাজ পার্টি ও বিজেপি দু’বার করে বিজয়ী হয়েছে।
কোটদ্বারে প্রায় ২৫,০০০ মুসলিম ভোটার রয়েছে। এছাড়া এ আসনে বিপুল সংখ্যক ঠাকুর ভোটারের প্রাধান্যও লক্ষ্যণীয়। এই অঞ্চলের রাজনৈতিক কর্মী রতন অসওয়াল জানিয়েছেন, প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে জাতপাত এখানে বিশাল ভূমিকা পালন করে এবং একজন ব্রাহ্মণ প্রার্থী এমনকী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিসি খান্দুরিও কখনও এই আসনটি জেতেনি।