সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জয়দেবন বলেন: “ভাইরাস আমাদের ঘিরেই থাকতে চলেছে। বেশ দীর্ঘ সময়ের জন্যই উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। পরবর্তী ভ্যারিয়েন্ট এলেই আরেকটি ঢেউ আসবে। আমরা জানি না এটা কখন হবে, তবে অনিবার্যভাবেই ছয় থেকে আট মাসে একবার ঘটতে পারে এটি।”
আরও পড়ুন- আস্থা ‘সবকা প্রার্থনা’ মন্ত্রে! দেশের ৮০% প্রাপ্তবয়স্কর কোভিড টিকাকরণ সমাপ্ত
advertisement
তিনি আরও জানান: “তবে এখনও পর্যন্ত, আমরা ওমিক্রনের নিম্ন পর্যায়ে আছি। আমাদের মনে রাখা উচিত, ভাইরাস এখনও রয়েছে। ফলে আমাদের সংক্রমণ আটকাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।
Omicron BA.2 আবারও সংক্রমণ বৃদ্ধি করতে পারে কী না সেই আশঙ্কার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জানান, যাদের আগে Covid-19 এর BA.1 সাব-ভ্যারিয়েন্ট ছিল BA.2 তাদের সংক্রামিত করতে পারবে না। “এটি আরেকটি ঢেউ সৃষ্টি করবে না। যাদের BA.1 ছিল তাদের সংক্রামিত করতে সক্ষম নয় BA.2। এটি একটি নতুন ভাইরাস বা স্ট্রেন নয়। BA.2 হল ওমিক্রনের একটি উপবংশ,” ANI কে বলেন ডাঃ জয়দেবন।
আরও পড়ুন- "প্রথম দু' দফার ভোটেই সেঞ্চুরি করেছে সমাজবাদী পার্টি": আত্মবিশ্বাসী অখিলেশ যাদব
ওমিক্রনের মতোই ভবিষ্যতের ভ্যারিয়েন্টগুলিও ভ্যাকসিনের অনাক্রম্যতাকে এড়িয়ে যেতে পারে, জানান ডাঃ জয়দেবন। “গত দুই বছর ধরে ভাইরাসটি নিজের ফিটনেস বাড়িয়ে বাড়িয়ে ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে, যাতে এটি আরও বেশি লোককে সংক্রামিত করার এবং প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতা এবং ভ্যাকসিনযুক্ত অনাক্রম্যতাকে অতিক্রম করার ক্ষমতা পেয়েছে,” বলেন ডাঃ জয়দেবন।
“ওমিক্রন দেখিয়েছে ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতাও সহজে এই ভ্যারিয়েন্টগুলি অতিক্রম করে যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে যখন আরও নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসবে এই প্রবণতা দেখা যাবেই। BA.1 এবং BA.2 উভয়েরই ইমিউন এস্কেপ ক্ষমতা রয়েছে, অর্থাৎ যদি এমনিই সংক্রমিত হয়ে থাকেন বা যদি টিকা দিয়ে থাকেন সব ক্ষেত্রেই এই ভাইরাস এখনও আমাদের সংক্রামিত করতে পারে,” ANI-কে জানান তিনি।
সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা এখন হ্রাসের মুখে। ফলে দেশ জুড়েই স্কুল এবং কলেজ সহ অন্যান্য বিভিন্ন কাজকর্ম আগের মতোই শুরু হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা বজায় রাখতে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্বের মতো কোভিড বিধি অনুসরণ করতেই জোর দিয়েছেন।