দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য পঞ্জাব পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি অমৃত পাল সিংকে খুঁজছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। দিনকয়েক আগেই পঞ্জাবে পলাতক অমৃতপাল সিংয়ের সহকারী জোগা সিংকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পিলভিটে জোগা সিং তাকে লুকাতে সাহায্য করেছিল। অমৃত পাল সিংয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল তার। তার জন্য গাড়ির ব্যবস্থাও সে করেছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: সিকিমে বন্ধ করে দেওয়া হল ছাঙ্গু লেক-না থুলা! ফের কি বড় কিছুর আশঙ্কা? চিন্তায় পর্যটকরা
উত্তরপ্রদেশের পিলভিটে খালিস্তানপন্থী ওই নেতাকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল জোগা সিং। সে আদতে লুধিয়ানার বাসিন্দা। পিলভিটে তার একটি ডেরা রয়েছে। হরিয়ানা থেকে পঞ্জাবে আসছিল জোগা। সেই সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর জোগা সিং গ্রেফতার হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই এবার গ্রেফতার হলেন খোদ অমৃত পাল সিং।
আরও পড়ুন: রাতের বৃষ্টিতে গরম কমল কলকাতায়, তাপপ্রবাহ নিয়ে বিরাট খবর! হাওয়া অফিসের বড় পূর্বাভাস
পুলিশ জানিয়েছিল, অমৃতপাল সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতমাসে পুলিশ তাকে ধরার জন্য খোঁজ শুরু করতেই সে পালিয়ে যায়। ধৃতরা হল হোশিয়ারপুর জেলার বাবাক গ্রামের বাসিন্দা রাজদীপ সিং ও জলন্ধর জেলার সর্বজিত সিং। গত মাসে পুলিশ অমৃতপাল সিং ও তার ওয়ারিশ পাঞ্জাব দে সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে। খালিস্তানপন্থী ওই নেতা গত ১৮ মার্চ জলন্ধর জেলায় পুলিশের জাল থেকে বেরিয়ে যায়। গাড়ি বদলে ছদ্মবেশ ধরে পালিয়ে যায় সে। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল। একাধিক রাজ্যে তার খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। বিশেষ করে পঞ্জাবের সীমানা রয়েছে সেই সব রাজ্যে জোরদার তল্লাশি চলছিল। অবশেষে মিলল সাফল্য।
সূত্রের খবর, এদিন ভোরবেলা গুরুদ্বারের সামনে পুলিশের সামনে আত্মসমর্পণ করেছেন খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহ। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অমৃতপালের স্ত্রী কিরণদীপ কউরকে মাত্র তিন দিন আগেই আটক করা হয়েছিল বিমানবন্দরে। কিরণদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শুল্ক দফতর। তার পর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবেই তাঁকে আটক করা হয়। সেই ঘটনার তিন দিন পরেই ধরা পড়লেন অমৃতপাল। পরিস্থিতি দেখে অনেকেরই প্রশ্ন, তবে কি স্ত্রীর টানেই অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন অমৃতপাল?