গাজিয়াবাদের সঙ্গে আরও নয়টি শহর দেশের সবচেয়ে দূষিতর তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নয়ডা, বাহাদুরগড়, দিল্লি, হাপুর, গ্রেটার নয়ডা, বাঘপত, সোনিপত, মীরাট এবং রোহতক। দূষণের তালিকায় শীর্ষ ১০–এর মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের ছয়টি শহর, হরিয়ানার তিনটি শহর এবং বাকি একটি স্থানে দিল্লি। দিল্লি বাদে বাকি সব শহরেই গত বছরের তুলনায় PM2.5–এর মাত্রা বেশি।
advertisement
দিল্লি চতুর্থ স্থানে ছিল, যেখানে মাসিক গড় PM2.5 ঘনত্ব ছিল প্রতি ঘনমিটারে ২১৫ মাইক্রোগ্রাম। অক্টোবরের গড় ১০৭–এর প্রায় দ্বিগুণ। দেখা গিয়েছে, এ’বছর দিল্লির বায়ুদূষণে ‘স্টাবল বার্নিং’-এর অবদান কিন্তু কমেছে। গতবছর তা ছিল ২০%, এই বছর ৭ %। সর্বোচ্চ অবদান ছিল ২২%, যা ২০২৩ সালের ৩৮%–এর তুলনায় অনেক কম।
তবুও, ২৯টি এনসিআর শহরের মধ্যে ২০টিতেই গত বছরের তুলনায় দূষণের মাত্রা বেশি ছিল।বাহাদুরগড় ছাড়া শীর্ষ ১০ শহরের কোনওটিতেই নভেম্বরের একদিনও PM2.5 নিরাপদ সীমার মধ্যে ছিল না। CREA–এর বিশ্লেষক মনোজ কুমার বলেছেন, এই তথ্য বলছে, সারা বছর ধরে দূষণ লেগেই থাকে। পরিবহণ, শিল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অন্যান্য দহন কার্যকলাপ বায়ুর গুণমানকে প্রভাবিত করছে। লক্ষ্যভিত্তিক ‘এমিশন কাট’ না হলে এই শহরগুলিতে বায়ুর গুণমান মানদণ্ড ভঙ্গ করবে।
রাজস্থানে সবচেয়ে বেশি দূষিত শহর রয়েছে। রাজস্থানের ৩৪টির মধ্যে ২৩টি শহরেই দূষণের মাত্রা জাতীয় সীমা অতিক্রম করেছে। হরিয়ানায় ২৫টির মধ্যে ২২টি এবং উত্তরপ্রদেশে ২০টির মধ্যে ১৪টি শহরে দূষণ মানদণ্ডের উপরে ছিল। মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পঞ্জাবের বিভিন্ন শহরেও বেশি PM2.5 মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এই ছবির একেবারে বিপরীতে গিয়ে, নভেম্বরে সবচেয়ে স্বচ্ছ শহর হিসেবে নাম লিখিয়েছে শিলং। মেঘালয়ের শিলং-এ সবচেয়ে কম দূষণ। মাসিক গড় PM2.5 ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ছিল ৭ মাইক্রোগ্রাম। পরিষ্কার শহরের তালিকায় রয়েছে কর্ণাটকের ছয়টি শহর এবং সিকিম, তামিলনাড়ু ও কেরল।
