গত ১০ অগাস্ট লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় জবাবি ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় বারবার বাধা দেওয়ায় অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ শেষ হওয়ার পর অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং অভিযোগ পাঠানো হয়েছে কমিটিতে। স্বাধীকার কমিটির রিপোর্ট আশা পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছে অধীর চৌধুরীকে।
advertisement
তারপরেই কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব ইন্ডিয়া জোট। তাৎপর্যভাবে অধীরের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। অধীরের সাসপেন্ড সমালোচনা করে তৃণমূলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মন্তব্য করেন, রাজনৈতিক মত পার্থক্য থাকলেও তিনি লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা। তাঁকে এভাবে সাসপেন্ড করা ঠিক নয়।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক ভাবে কিছু জায়গায় বিরোধ থাকতে পারে তবে তিনি লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা। তিনি আজ দেশের সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন সেই জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অবশ্য সাসপেন্ড করার পিছনে অন্য কারণ দেখানো হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ‘রুমেই ছিলাম..’ ঘটনার পরে ‘আমরা সব ওখান থেকে পালালাম’, মা-কে বলেছিল ধৃত প্রাক্তনী অসিত
তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় রাজনীতির খুব বাজে একটা দিন। একটা কথা স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যেই বলুন তাঁকে সবরকম চেষ্টা করা হবে আটকানোর জন্য।” অধীরের পাশে দাঁড়িয়ে কল্যাণ বলেন, ‘‘আমি স্পিকারের সম্পর্কে কিছু বলছি না। বিজেপি তো প্রস্তাবনা এনেছে। তাঁর অনুপস্থিতিতে এটা করা উচিত হয়নি। এটা তো কাল সকালেও করা যেত।” অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, ‘‘খুবই অন্যায় হয়েছে। এমন কোনও মন্তব্য উনি করেননি, যার জন্য সাসপেন্ড হতে হবে।’’