উল্লেখ্য সংসদের বাদল অধিবেশনের এটি শেষ সপ্তাহ। গত ১৯ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। কিন্তু, পেগাসাস, কেন্দ্রীয় তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি এবং পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সম্মিলিত বিরোধীদের প্রতিবাদের জেরে আজ পর্যন্ত একদিনও কোন কক্ষেই সম্পূর্ণ কাজ হয়নি। এবার সেই তালিকায় যোগ হতে চলেছে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের উপর বর্বরোচিত হামলা।
advertisement
সূত্রের খবর গতকাল রাতেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জুন মাসে সর্বভারতীয় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বহু গুরুদায়িত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)কে। এক কথায় বললে ২০২৪-এর আগে আঞ্চলিক দলের তকমা ঝেরে ফেলে সার্বিক সম্প্রসারণ চাই তৃনমূল। আর এই কাজে সূত্রধরের ভূমিকা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দলের যাবতীয় দেখভালের দায়িত্ব তৃণমূল নেত্রী তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন। সাংগঠনিক রদবদলের দিকটি যেমন তিনি দেখছেন তেমনই বাংলার বাইরে সংগঠনের সম্প্রসারণের স্ট্র্যাটেজি তৈরি করছেন তিনি। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি এসে যে বৈঠকগুলি করেন সেখানে অভিষেকও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বিজেপি বিরোধী তার মুখ হিসেবে অভিষেককে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এসবের মধ্যেই টানাপোড়েন শুরু হয় ত্রিপুরায়। দলীয় যুবনেতারা ত্রিপুরায় আক্রান্ত হলে সাতপাঁচ না ভেবে ছুটে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। গোটা দিন থানায় বসে থেকে তাঁদের ছাড়িয়ে আনেন তিনি নিজেই। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে অভিষেকের উত্থানচিহ্ন এই ঘটনা-মনে করছে তৃণমূল। বিজেপি অবশ্য মনে করছে এই পদক্ষেপে চিড়ে ভিজবে না।
