নদিয়ার শান্তিপুরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রামগোপাল সেন স্ট্রিটে অবস্থিত ওই ডোবাটি। সেটিই ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে প্রোমোটার দীপক সাহার বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে কিছু স্থানীয় বাসিন্দাকে গালিগালাজ এমনকি প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেয় প্রোমোটারের লোকজন, এমনই দাবি এলাকাবাসীর। শেষ পর্যন্ত বুধবার এলাকার ৫০ জনেরও বেশি মহিলা একত্রিত হয়ে পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
advertisement
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় ৩০ বছর আগে ওই প্রোমোটার ডোবাটির পাশে ফ্লাট তৈরি করে বিক্রি করলেও প্রতিশ্রুতিমত রাস্তা করে দেননি। সম্প্রতি রাস্তা করে দেওয়ার নাম করে তিনি ওই ডোবা ভরাটের কাজ শুরু করেন। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মোটেও কোনও রাস্তা তৈরি করে দিত না প্রমোটার। বরং ডোবা বুজিয়ে তা চড়া দামে বিক্রির পরিকল্পনা আছে। তাই রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টরে করে মাটি নিয়ে এসে ডোবায় ফেলা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: পার্কিংয়ে রাখা গাড়ির ব্যাটারি চুরি করে পালানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়ল গুণধর
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রশান্ত বিশ্বাস জানান, বর্ষাকালে গোটা এলাকার জল ওই ডোবায় গিয়ে জমা হয়। সেটি বুঝিয়ে ফেললে বর্ষার বৃষ্টিতে গোটা এলাকা ভেসে যাবে। তাই ডোবা ভরাটের কথি জানতে পেরেই তিনি শান্তিপুর পুরসভার পুরপ্রধান সুব্রত ঘোষকে বিষয়টি জানান। কাউন্সিলরের দাবি, পুরপ্রধান তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সরকারি নিয়ম মেনেই ওই ডোবা ভরাট করতে দেওয়া হবে না। এই বিষয়ে পুলিশের সাহায্য নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
যদিও এই অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রোমোটার দীপক সাহা বলেন, প্রথমত গোটা জমিটাই বাগান বলে রেকর্ড আছে। সেখানে পুকুর বা ডোবা বলে কোনও কিছুর উল্লেখ নেই। তবে নিচু অংশটিতে তিনি হাত দিচ্ছেন না, উপরের অপেক্ষাকৃত কম নিচু একটি অংশ তিনি সমান করে দুটি প্লট বিক্রি করবেন বলেই মনস্থির করেছেন। পাশাপাশি সাফাইয়ের সুরে বলেন, গরম পড়ার কারণেই মধ্যরাতে কাজ চলছে।
মৈনাক দেবনাথ