মহিলা পুলিশ সহযোগে অভিযুক্ত মদন হালদারের স্ত্রী জয়ন্তী হালদারকে নিয়ে আসা হয় খুনের জায়গায়। সেই জায়গায় খুনের পুনর্নির্মাণ করা হয় তার বয়ানের দ্বারা। কীভাবে স্বামীকে খুন করেছিল, কোন কোন উপায় অবলম্বন করেছিল, খুন করার জন্য তা দেখানো হয়। আনুমানিক ক'টা নাগাদ খুন করেছিল সমস্ত ঘটনার বিবরণ দেন অভিযুক্ত মহিলা। এমনকি খুন করার পর পাশের পুকুরে যে স্থানে লাশ পাওয়া যায়, সেই স্থানটিও শনাক্ত হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বিশ্বাস হচ্ছে না? মশলাদার খাবারই কমাবে ওজন, কীভাবে জানুন আজই
অভিযুক্ত জয়ন্তী হালদার জানান, স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচৈতন্য করার পর তার দেহ টেনে নিয়ে গিয়ে বাথরুমের মধ্যে ফেলা হয়। সেখানে মোটা ধাতব দণ্ডের অংশ দিয়ে তার মাথায় একাধিকবার আঘাত করা হয়। এরপর স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার দেহ পাশের একটি জলাশয়ে ফেলে দেন অভিযুক্ত মহিলা। এরপরেই নাটকীয়ভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের চিৎকার চেঁচামেচি করে ডাকেন তিনি। এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
জানা গিয়েছে, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের পরে সন্দেহ দানা বাঁধে মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর ওপরেই। এরপরেই পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়েন তিই এবং স্বীকার করে নেন খুনের কথা। অভিযুক্ত ওই মহিলাকে রানাঘাট আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এরপর মঙ্গলবার পুলিশ তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত জয়ন্তী হালদারকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করান।
Mainak Debnath





