রমজান মাসে বেশিরভাগ ইসলাম সম্প্রদায়ের মানুষ রোজা রাখেন। প্রতিদিন বিকেলে ইফতারের সময় তাঁরা বেশ কিছু ফল খান। এটাই রীতি। স্বাভাবিকভাবেই এই সময়টায় বাজারে ফলের চাহিদা অনেকটা বেড়ে যায়। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দুই ২৪ পরগনার বাজারে বাজারে ফলের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। ফলে দামও বেড়েছে আপেল, করা, তরমুজ, শশা, পেঁপের। কিন্তু নদিয়ার বাজার যেন ব্যতিক্রম। সেখানে এই বছর তেমন একটা ফলের চাহিদা দেখা যাচ্ছে না।
advertisement
আরও পড়ুন: BSNL-র কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে কৃষ্ণনগরের অফিসে বিক্ষোভ
এখানকার ফল বিক্রেতাদের দাবি আগের মত বাজারে আর ক্রেতার ভিড় দেখা যাচ্ছে না। ফলের দাম অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় ইফতারের সময় অনেকেই মেনু পাল্টে ভাজাভুজি খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে শুধু রমজান মাস নয়, সামনেই হিন্দুদের গাজন উৎসবও আছে। এছাড়াও পাড়ায় পাড়ায় শীতলা পুজো হয় এই সময়। সবমিলিয়ে ফলের চাহিদা উর্ধ্বমুখী থাকে এই সময়টায়। কিন্তু এই বছর ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ফল বিক্রেতারা। আগামী এক-দু'দিনের মধ্যে বাজারের হাল না ফিরলে তাঁদের অনেক টাকা লোকসান হবে বলে জানিয়েছেন ফল ব্যবসায়ীরা।
মৈনাক দেবনাথ