তিনি শূন্য থেকে সংখ্যা এক বানিয়েছেন। শুধু তাই নয়। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওই অঞ্চলের দ্বিমুখী লড়াইয়ে, বিদায়ী পঞ্চায়েত বোর্ডের প্রধান শুকিলা বিবিকে হারিয়েছেন ৫৭ ভোটে। শুকিলা বিবি এর আগেও এই পঞ্চায়েতেরই উপপ্রধান ছিলেন। পঞ্চায়েত গঠনে নির্ণায়ক হিসাবে একমাত্র সবেধন লালমনিকে শাসক দলের পক্ষ থেকে ভয় দেখানো শুরু হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে ইতিমধ্যেই। লাল আবির মেখে মাইক বাজিয়ে এলাকার মানুষ যখন আনন্দ উৎসবে মেতেছে, ঠিক তখনই চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসক দলের কাছে, এমনই অভিযোগ ওই এলাকার বাম কর্মী সমর্থকদের।
advertisement
তাঁরা বলেন, “সেদিন রাত থেকেই হুমকি আসছিল, শাসক দলের উন্নয়নে গা ভাসানোর জন্য, কিন্তু বামপন্থাকে ভালবেসে নিজের নীতি আদর্শ বিসর্জন না দিতে পারার জেদি মনোভাবের কারণে, আজ হঠাৎ বোমাবাজি শুরু করে তারা। একটা-দু’টো নয়, একের পর এক ১০-১২ টিরও বেশি বোম মারে বামপন্থীদের মিছিল লক্ষ্য করে। গুরুতর জখম হয় ছ’সাত জন। তারা কেউ বা প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছেন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে, কেউ আবার গিয়েছেন অন্যত্র চিকিৎসা করাতে।”
আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতিতে ভিজল না চিঁড়ে? ঘুরে গেল মতুয়া ভোট! নিজের ঘরেই চূড়ান্ত হার শান্তনু ঠাকুরের
আরও পড়ুন: ‘গণনাকেন্দ্রের দখল নিলেন আরাবুল!’, ভাঙড় হিংসা নিয়ে বিস্ফোরক নওশাদ, সিবিআই তদন্তের দাবি
আহত তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে দলগতভাবে একত্রে চিকিৎসা করাতে আসেন। তাঁরা বলেন, রাত থেকে মাইক বক্সের দাপটে থাকা যাচ্ছে না। উন্মাদনা নাকি এতটাই বেশি যে, রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ গেলেও তাঁদের গালিগালাজ করা হচ্ছে। এ দিন আবার তাঁদের বিজয় মিছিল। অভিযোগ, মিছিলের মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজন ছুটে এসে পথের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ-সহ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বেধড়ক করতে শুরু করে। মিছিলের মধ্যে থাকা একটি ব্যাগের মধ্যে থেকে নাকি পরপর সাতটা বোমা পড়ে। যাতে গুরুতর জখম হয় তারা।
রাজনৈতিক চাপানউতর রহস্য উদঘাটন করতে শান্তিপুর থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনার ফলে পৌঁছায়। যদিও দু’পক্ষের প্রায় ১১ জন গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মৈনাক দেবনাথ






