জানা গিয়েছে, ওই বুথের ১৮ নম্বর সিট থেকে বিজেপি প্রার্থী বৈদ্যনাথ সরকার ২৩৪ ভোটে জয়লাভ করে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে। প্রসঙ্গত, ওই আসনটি ছিল তপশিলি সংরক্ষিত আসন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মিঠুন সরকার। অন্য এক প্রার্থী ছিলেন সিপিআই পার্টির, যিনি ৬০ টি ভোট পান।
আরও পড়ুনঃ আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তোলপাড় বাংলা, প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে ভাসবে ‘এই’ জেলাগুলি
advertisement
মঙ্গলবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় বিডিও, এসডিও এবং ডিএম-এর কাছে। অভিযোগ, বিজেপির জয়ী প্রার্থী বৈদ্যনাথ সরকার ওই একই এলাকায় বসবাসকারী নিরঞ্জন সরকার এবং উৎপল সরকারের মৃত বাবা স্বর্গীয় অক্ষয় সরকারকে আইনি বাবা বানিয়ে ভোটে দাঁড়ান। তবে ধরা পড়ে যান ভোটার তালিকায় থাকা বাড়ির নম্বর মেলানোর সময়, মৃত অক্ষয় সরকারের ভোটার তালিকায় থাকা নম্বর অনুযায়ী n0049, কিন্তু বৈদ্যনাথ সরকারের বাবা এবং মা দুজনেই জীবিত রয়েছেন এবং তাঁদের দু’জনের কারও নির্বাচন তালিকায় নাম নথিভুক্ত নেই, তার ভোটার কার্ড এবং এসসি সার্টিফিকেট দুটোই অবৈধ।
আরও পড়ুনঃ ৬ বার অপারেশনের পর বাধ্য হয়েই আরও একবার নিউ ইয়র্কে অভিষেক, সামনে এল চিকিৎসকদের পরিচয়!
এই গুরুতর অভিযোগ নিয়েই রীতিমতো রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। শান্তিপুর ব্লক এর আরবান্দি ২ নং পঞ্চায়েতের ডংক্ষিরা ১৬ নং বুথে মোট ২০টি আসন। যার মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি পায় ১০টি আসন, তৃণমূল পায় ৯টি আসন, এবং একটি আসন পায় নির্দল প্রার্থী। যদিও পরবর্তীতে ওই নির্দল প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসেই যোগদান করে। এখন ২০টি আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল ও বিজেপির হাতে রয়েছে ১০টি করে আসন। বেশ কিছুদিন ধরেই পঞ্চায়েত দখল কোন পার্টি করবে সেই নিয়েই চলছিল রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা। আর তার পরবর্তীতেই এমন গুরুতর অভিযোগ উঠে এল জয়ী বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে সপরিবারে আসার পর প্রার্থী বৈদ্যনাথ সরকারের বাবা এবং মায়ের ভোটার কার্ড করা সম্ভব হয়নি। এরপরেই বৈদ্যনাথ সরকার তার স্থানীয় এলাকারই নিরঞ্জন সরকার ও উৎপল সরকারের বাবা বর্তমানে মৃত অক্ষয় সরকারের বাবাকে নিজের বাবা সাজিয়ে এসসি শংসাপত্র বের করে ভোটের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারাও জানান, বিজেপি প্রার্থী বৈদ্যনাথ সরকারের প্রকৃত যিনি বাবা, তাঁকে তারা ওই এলাকায় নিত্যদিন কৃষিকাজ এবং আনাজ বিক্রি করতে দেখেন। কিন্তু তারা কোনওরকম পরিচয় পত্র দেখাতে পারেনি।
আরও পড়ুনঃ চিরতরে ঘুচবে অর্থাভাব, এক চিমটি হলুদ দিয়ে করুন ‘এই’ ছোট্ট একটা কাজ
যদিও বিজেপি প্রার্থী বৈদ্যনাথ সরকারের বাবা-মায়ের দাবি, যেহেতু তৃণমূল এবং কংগ্রেসের আসন বর্তমানে রয়েছে সমান সমান। সেই কারণেই এমন গুরুতর অভিযোগ তাদের ছেলের বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে। যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত দখলে সুবিধা হয়। বিজেপি নেতৃত্ব দাবি, তদন্ত হোক প্রমাণ দেওয়া হবে কোর্টেই। বর্তমানে এই জল্পনা ঘিরেই চলছে রাজনৈতিক মহলে চাপানোউতোর। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এ দিন বিডিও অফিসের সামনে অঞ্চল নেতৃত্ব লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার পাশাপাশি বিক্ষোভ অবস্থান করেন। যদিও কিছু সময় বাদে, বিডিও তাদের আশ্বস্ত করেন, যাবতীয় প্রমাণাদি অনুযায়ী খতিয়ে দেখার।
Mainak Debnath