আবহাওয়াবিদরা বলছেন চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে বৃষ্টিপাতের অভাবে এবং টানা তাপপ্রবাহের কারণে ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষীরাও। বিশেষ করে মৌসুমী ফল আম, লিচু চাষে মারাত্মক হারে ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান তারা। আপাতত বৃষ্টির অপেক্ষাতেই তারা দিন গুনছেন।
advertisement
নদীয়া জেলায় ধান পাট ও সবজির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্লকে আম এবং লিচুর চাষ করা হয়। জেলার পাশাপাশি বাইরেও রফতানি করা হয়। এবারে মুকুলের পরিমাণ যথেষ্ট ছিল ভালো বলে জানান চাষিরা। তবে বৃষ্টিপাতের অভাবে সেই মুকুল থেকে ছোট ছোট আম লিচু দেখা গেলেও তা অকালেই ঝরে পড়ছে গাছ থেকে। দেখা যায় ছোট লিচুর কুড়ি তপ্ত রোদে শুকিয়ে গিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। আমের গায়েও লেগে যাচ্ছে দাগ। এর প্রধান কারণ সূর্যের প্রখর তাপ। যদিও কৃত্রিম উপায় চাষিরা জল সেচের ব্যবস্থা করছে গাছগুলিতে তবে তা যথেষ্ট নয় বলেই জানান তারা।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টি নামানোর আশ্বাসে সুদীর্ঘ ১২ ঘণ্টার শান্তিযজ্ঞ পাঁচ ব্রহ্মচারীর !
চাষীদের বক্তব্য প্রায় ৫০ শতাংশ ফলন নষ্ট হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন তারা। এর ফলে এবারে আম এবং লিচুর রফতানিতেও তার প্রভাব পড়তে পারে। সামনেই খুশি ঈদ এবং বর্তমানে চলছে রোজার মাস। এই সময়টাতে এমনিতেই ফলের চাহিদা থাকে বেশি। তবে এ বছর বৃষ্টিপাতের অভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষিরা। ফলে চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিতে না পারায় মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলের। তবে স্বস্তির খবর একটাই আবহাওয়াবিদরা বলছেন চলতি সপ্তাহের শেষের দিকেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন চাতক পাখির মতই সেই বৃষ্টির দিকে চেয়ে রয়েছেন জেলার সমস্ত চাষীরা।
মৈনাক দেবনাথ





