দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে একটি মেয়েকে ভালবাসতেন তিনি। কিন্তু সেই প্রেম পূর্ণতা পায়নি। ভালবাসার মানুষটি অন্যত্র বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর গভীর ভাবে মানসিক আঘাত পান তিনি। সেই ব্যথা, সেই একাকিত্ব থেকেই নাকি জন্ম নেয় বাঁশির সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। গত প্রায় দু’বছর ধরে বাঁশির সুরেই নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছেন কৃষ্ণ।
তাঁর কাছে রয়েছে মোট চারটি বাঁশি, দুটি আড় বাঁশি, একটি রাখালিয়া বাঁশি এবং একটি মুরলী বাঁশি। আশ্চর্যের বিষয়, কারও কাছ থেকে প্রথাগতভাবে শিক্ষা না নিয়েই তিনি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে বাঁশি বাজাতে পারেন। নিজের অনুভূতি, কষ্ট আর ভালবাসাকে সুরে বেঁধেই যেন তিনি নতুনভাবে বাঁচতে শিখেছেন।
advertisement
প্রায়ই গঙ্গার পাড়ে, কখনও আবার যোগনাথতলার নিতাই মন্দির চত্বরে বসে তার বাঁশির সুর ভেসে আসে। সেই সুর শুনে থমকে দাঁড়ান পথচারী, ভক্তরা মুগ্ধ হয়ে শোনেন। অনেকেই বলেন, তার বাঁশির সুরে যেন এক ধরনের আধ্যাত্মিক প্রশান্তি মেলে। প্রেমের ব্যথাকে শক্তিতে পরিণত করে বাঁশির সুরে নিজেকে খুঁজে পাওয়া এই মানুষটিকেই আজ সবাই আদর করে ডাকেন ‘নবদ্বীপের কৃষ্ণ’।