কেউবা দিনমজুর, কেউবা কৃষি শ্রমিক, কেউ আবার রেশন কিংবা বিভিন্ন দোকানে কাজকর্ম করে থাকেন। তবে পুজো আসলে বাড়তি রোজগারের আশায় হাত লাগান উৎসবের প্রধান প্রতিমা কারখানা থেকে বের করে গাড়িতে তোলা কিংবা ঠাকুরদালান অথবা পুজো মণ্ডপে সাবধানতার সঙ্গে নামিয়ে দেওয়ার। ইদানিং পুরোহিত, শিল্পী, ঢাকিকে সংবর্ধিত করার কিছু কিছু ব্যতিক্রমী নিদর্শন চোখে পড়লেও যারা এই অত্যন্ত বিপজ্জনক ভাবে প্রতিমা তোলা নামানোর কাজ করে থাকেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানানোর নিদর্শন অবশ্য খুব বেশি চোখে পড়ে না।
advertisement
আরও পড়ুন: ভিন গ্রহে বেড়াতে যাবেন! উঠতে চান ইউএফও-তে? তাহলে চলে আসুন এখানে
কোমরে গামছা শক্ত করে বেঁধে কেউ দা, কেউ শাবল কিংবা বাঁশের লম্বা বাতা নিয়ে, অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেন পুজোর প্রাক্কালে। শান্তিপুরের এইরকম বেশ কিছু শ্রমিক একত্রিত হয়ে বেশ কিছু বছর ধরে এ কাজ করে আসছেন। এমনকি সুদূর কলকাতা পর্যন্ত তারা গাড়িতে করে পৌঁছে যান শুধু এই ঠাকুর না বানানোর জন্য অনেকে তো আবার বহুতল বাড়ি কিংবা ফ্লাটে দুর্গা প্রতিমা তোলার দায়িত্ব দিয়ে থাকেন তাদের উপরেই।
আরও পড়ুন: মামাবাড়ির শতবর্ষ প্রাচীন দুর্গাপুজোয় শামিল লন্ডনের এরিন, জেনি,সাশারা…
তবে এ বিষয়ে তাদের নেই কোন সংগঠন কিংবা হোয়াটস্যাপ গ্রুপ। অনেকের ফোন না থাকলেও অদ্ভুতভাবে পালবাড়ীর ডাকে সাড়া দিয়ে নিমেষের মধ্যে পৌঁছে যান সেখানে। অন্যদিকে বিসর্জনের সময় ঘাটে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন নিজেদের কর্ম দক্ষতায় ভাড়া খাটার জন্য। আর সবাইয়ের মতই তাঁদের ছাড়া এই আনন্দ উৎসব সম্পন্ন হবে না সুষ্ঠু ভাবে। তবুও তাঁরা ব্রাত্যই থেকে যান সমাজে।
Mainak Debnath