কোভিড পরিস্থিতির কারণে ২০১৭ থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত তিন বছরের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়নি, যা ২০২২ সালে ১৭, ১৮, ১৯ এর পুরস্কার একসাথে শিল্পীদের দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে শিল্পীরা পুরস্কার নিতে শুক্রবার দিল্লি পৌঁছে গেছেন। নদিয়া জেলার যে ছয় জন তাঁত শিল্পী জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন তার মধ্যে হস্ত চালিত তাঁত শিল্পী হিসেবে জামদানি শাড়ী বোনার জন্য ২০১৭ সালে সরস্বতী সরকার, ২০১৮ সালে অপর্ণা জোয়াদ্দার, সুনীল বিশ্বাস ও সঞ্জিত সরকার এবং ২০১৯ সালের জন্য রুমেলা মজুমদার ও পুনরায় সঞ্জিত সরকার পুরস্কার পাচ্ছেন। এছাড়া ১৮ ও ১৯ সালে বিশেষ বিভাগে ব্যবসা ও নকশায় দুটি জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন স্বনামধন্য তাঁত শিল্প বীরেন কুমার বসাক।
advertisement
আরও পড়ুন - পালপাড়ায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধনে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা
আরও পড়ুন -বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের পরাজয়ের গল্প, জানলে শিউরে উঠবেন
এদের মধ্যে বীরেন কুমার বসাক শান্তিপুরের ফুলিয়ার বাসিন্দা ও সুনীল বিশ্বাস রানাঘাটের অনুলিয়ার বাসিন্দা। বাকি শিল্পীদের বাড়ি রানাঘাটের হবিবপুরে। একই গ্রামের ৪ জন জাতীয় পুরস্কার পাওয়ায় খুশি গ্রামের মানুষ। ৫২ বছরের সরস্বতী সরকার বলেন, "আর্থিক অনটনে লেখা পড়া শেখা হয়নি।" একই রকম খুশি বাকি শিল্পীরাও। সকল শিল্পীর একই কথা, "কোনও দিন এত বড় পুরস্কার পাবার কথা ভাবতেও পারিনি, এর জন্যে বিশেষ ধন্যবাদ উইভার্স সার্ভিস সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর রাজেশ চ্যাটার্জি মহাশয়কে।"
২০১৮ ও ১৯ সালের জন্য দুইবার পুরস্কার প্রাপক ৪২ বছর বয়সী শিল্পী সঞ্জিত সরকার বলেন, "পর পর দুবছর পাওয়া এই সম্মান আমাদের উৎসাহিত করল।" হস্তচালিত তাঁতে বোনা শাড়ির নকশা ও ব্যবসায় জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী বীরেন কুমার বসাক জানান " যন্ত্র চালিত তাঁতের দাপটে নদিয়ায় হস্তচালিত তাঁতে বোনা জামদানি যখন নিজের অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে, সেই সময় নদিয়া জেলা থেকে হস্ত চালিত তাঁতের জন্য পাওয়া এতগুলো জাতীয় পুরস্কার আগামী দিনে হস্ত চালিত তাঁত শিল্পে আসতে অন্যদের সাহস যোগাবে।"
এছাড়াও বাংলা থেকে আরও কয়েকজন পুরষ্কার পাচ্ছেন যারা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের থেকে এসেছেন বলে জানা যায়।
Mainak Debnath