এই কার্ড-এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা ঋণ হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য দেওয়া হবে বলে এমনটাই জানা যায় সূত্র মারফত। রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলির মতই নদিয়া জেলাতেও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের সম্পর্কে একাধিকবার আলোচনা সভা করা হয়েছে। এবার নদিয়া জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকের নির্দেশে শান্তিপুরের কলেজে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে করা হল এক আলোচনা সভা।
advertisement
আরও পড়ুন- চার বছরে হয় বিশ্বকাপ, একবারই হয়েছিল ৩ বছরে! ৯৬-এর পর ৯৯, কেন জানেন?
আরও পড়ুন- বিপদ কাটল শুভমানের! ডেঙ্গি আক্রান্ত গিল এতদিনে স্বস্তিতে, বড় আপডেট
মূলত স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য কী ভাবে আবেদন করতে হবে কী কী নথিপত্র ব্যাঙ্কের তথ্য দরকার পড়বে সেই নিয়েই এক বিস্তর আলোচনা সভা করা হল শান্তিপুর কলেজে ভর্তি হওয়া নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে। এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নোডাল অফিসার অধ্যাপক ডক্টর অনির্বাণ ভট্টাচার্য, বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডঃ প্রসেনজিৎ মন্ডল, এ ছাড়া অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। এদিনের এই আলোচনা সভায় কলেজের অধ্যক্ষা অনুপস্থিত থাকার কারণে ড: সুচিস্মিতা সান্যাল এই আলোচনা সবার সভাপতিত্ব করেন বলে জানা যায়।
রাজ্য সরকারে এই প্রকল্প স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দুস্থ ও গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের স্বপ্নপূরণের এক অন্য মাত্রা দিতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রত্যেক বছরই শান্তিপুর কলেজের অসংখ্য ছাত্র ছাত্রীরা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করে। গতবছর ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাঙ্কের তথ্যগত দিক থেকে কিছু মনোযোগ থাকায় অনেকে আবেদন করা সত্ত্বেও তাদের লোন মঞ্জুর করা হয়নি, তবে এ বার সমস্ত ভুল ত্রুটি কাটিয়ে নতুন করে আলোচনা সভার মাধ্যমে নতুন বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের বিষয় নিয়ে বেশ কিছু তথ্য দেওয়া হয়। মূলত এই কার্ডে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা ঋণ হিসেবে পাওয়া যেতে পারে এবং সর্বনিম্ন যেই কলেজে ভর্তি হবে সেই কলেজের পড়াশোনার খরচের টাকা ঋণ হিসেবে দেবে রাজ্য সরকার বলে জানা গিয়েছে।
সুদের সরল হার চার শতাংশ এবং এই ঋণ শোধ করা যাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রায় ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত বলে জানা যায়।অনুন্নত এলাকার পিছিয়ে পড়া প্রতিভাবান ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবার এ বার অনেকটাই দুশ্চিন্তা মুক্ত হবে এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
Mainak Debnath