এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির শহর -১ মন্ডল সভাপতি রাজু বৈরাগী জানালেন, ভোটের স্বার্থে সরকার সকলকে খুশি রাখতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে অঢেল সাইকেল দিয়েছে, বিতরণ অনুযায়ী তা আবার একত্রিত করতে বললে দেখা যাবে অর্ধেকের বেশি বিক্রি হয়ে গেছে। অথচ সর্বসাধারণের জন্য বহু প্রকল্প অর্থাভাবে বন্ধ রেখেছে রাজ্য সরকার। তিনি আরও জানালেন, আইনি বাধার কারণে তা নিতে বাধ্য হচ্ছেন অভিভাবকরা৷ কিন্তু গুণগতমানে তা চালানোর উপযোগী না হওয়ার কারণে বেচে দিচ্ছেন অনেকেই।
advertisement
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় পৌর প্রধান সুব্রত ঘোষ জানালেন, উপযুক্ত প্রমাণ পেলে নিশ্চয়ই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে মহৎ উদ্দেশ্যের কথা মাথায় রেখে। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজন না থাকলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে, তাই বলে কম দামে সাইকেল বিক্রি করে দেওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয়। মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের পরিকল্পনায় উপকৃত লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী, তার মধ্যে সামান্য একটা অংশের এই ধরনের অন্যায় কাজের জন্য ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে সরকারের।
তবে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে পুরনো ভাঙাচোরা লোহার অংশবিশেষ ক্রয় করেন, এমন একজন জানালেন, "প্রায়শই বিভিন্ন সাইকেল বিক্রি করা হয় সবুজ সাথীর স্টিকার ছাড়া, তাই বোঝা সম্ভব হয় না। তাই আমরা ওই সাইকেল ক্রয় করে নিয়ে আসি৷"
Mainak Debnath