এ বিষয়ে রানাঘাট কোর্টের আইনজীবী বাসুদেব মুখোপাধ্যায় জানান, \" আমাদের এই রানাঘাট একটি সুপ্রাচীন শহর। এখানে রানাঘাট পৌরসভা আজকে ১০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিন আমাদের সদর শহর কৃষ্ণনগর হাওয়াতে যে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছিলাম সাধারণ লোক হিসেবে সেই অসুবিধার আজকে সমাপ্তি ঘটল। এই জেলা ঘোষিত হওয়াতে প্রত্যন্ত গ্রামের যে সমস্ত সাধারণ মানুষ রয়েছেন, তার কারণ রানাঘাট মহকুমার অধীনস্থ শান্তিপুর, ধানতলা, হাসখালি এছাড়াও বহু দূর দূরান্ত থেকে লোক আসে। তাদের রানাঘাট আসাটা যতটা সহজ কৃষ্ণনগর যাওয়াটা ততটাই কষ্টসাধ্য। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে প্রত্যন্ত গ্রামের লোকেরা অত্যন্ত সুবিধা ভোগ করবেন এবং সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হবে না বলে আমি মনে করি\"।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নিজেদের ঘরের মেয়ে দেশের সর্বোচ্চ আসনে বসায় উৎসবে মজেছেন আদিবাসী সম্প্রদায়
যদিও বেশ কিছু মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের ফলে, মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তে রীতিমত প্রতিবাদ করেছেন বাম নেতা সুবীর ভৌমিক। তিনি জানান রাজনীতিগতভাবে নদীয়া জেলা বরাবরই ভাগ করা ছিল এখন শাসকদলের দুর্নীতির কলঙ্ক দাগ মেটাতেই মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে রাজ্যের দুর্নীতির দিক থেকে মানুষের নজর অন্যদিকে ঘোরানো যায়।
আরও পড়ুনঃ মাত্র দু'বছর বয়সী প্রিয়জিৎ প্রতিবেশীদের কাছে বিস্ময় শিশু
সোশ্যাল মিডিয়াতে একাধিক মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে কেউ লিখছেন ইতিবাচক কেউবা নেতিবাচক। অনেকেই মনে করছেন নদীয়ার গর্ব থেকে রানাঘাট কে হয়তো বঞ্চিত করা হচ্ছে আবার অনেকে মনে করছেন রানাঘাট নতুন জেলা হওয়ার পরে একাধিক সুযোগ-সুবিধা অনায়াসেই পাওয়া যাবে তবে বাস্তবে কি হতে চলেছে সেটি দেখা যাবে হয়তো জেলা হিসেবে গঠিত হওয়ার পরেই।
Mainak Debnath