এবার চৈত্র মাসেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা বাংলা। হাসফাঁস করবে মানুষ। একটু ঠান্ডা জল পান না করলে যেন স্বস্তি হচ্ছে না। এদিকে চিকিৎসকরা বারবার ফ্রিজের ঠান্ডা জল খেতে বারণ করছেন। ফলে মাটির জালা, কলসি, বোতলের চাহিদা বেড়েছে। আর গোটা চৈত্র মাসজুড়ে সেই সমস্ত জিনিসই তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এখানকার মৃৎশিল্পীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: পয়লা বৈশাখের আগে বেতন না হওয়ায় পুরপ্রধানকে ঢুকতে বাধা অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের, উত্তপ্ত চুঁচুড়া
মাজদিয়ায় বেশ কয়েকটি মৃৎশিল্পী পরিবারের বসবাস। তাঁরা প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি মাটির বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করে থাকেন। তবে গোটা বৈশাখ মাস কোনও কাজ হয় না। এর কারণ, কুমোড় যে চাকার মধ্যে মাটির আসবাবপত্র তৈরি করেন, বৈশাখ মাসে সেই চাকা উৎসর্গ করা হয় দেবাদিদেব মহাদেবের উদ্দেশ্যে। প্রাচীন কাল থেকে এই রীতি চলে আসছে। সেই কারণে বৈশাখ মাসে কুমোড়ের চাকা ঘোরে না। তাঁরা মনে করেন এর ফলে বাকি ১১ মাস হাতে ভালো কাজ পাওয়া যায়।
মৈনাক দেবনাথ