যেহেতু শনিবার শুধুমাত্র গৌরাঙ্গিনীর বিসর্জন হওয়ার অনুমতি দেয় প্রশাসন, তাই বেলা বাড়ার সাথে সাথে ক্রমশ ভিড় বাড়তে থাকে গৌরাঙ্গিনীর শোভাযাত্রা সংলগ্ন রাস্তায়। শেষমেষ যখন বেহারার কাঁধে করে গৌরাঙ্গিনী মাতা পথে নামল, ততক্ষণে রীতিমতো জনপ্লাবনে ঢেকে গিয়েছে করোনার নিয়ম বিধি। দূরত্ব বৃদ্ধির কথা না বলাই ভালো, সামান্য মাস্কটুকুও বেশিরভাগ মানুষের মুখেই দেখতে পাওয়া গেল না।
advertisement
গৌরাঙ্গিনীর পূজা মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে পোড়ামাতলা হয়ে যতই প্রতিমা এগোচ্ছে। তার সাথে সাথে মানুষের ঢলও ততই বেড়ে চলেছে। যদিও সেই সময়ে গোটা নবদ্বীপ শহরে অসংখ্য পুলিশ বাহিনী ও সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছিল। তবুও প্রশাসনের নজরে এড়িয়েই করোনার নিয়মবিধিকে উপেক্ষা করেই রীতিমতো আবেগের জোয়ারে মানুষ গা ভাসালেন এইদিন।
অবশেষে বিকেল চারটে নাগাদ সূর্য অস্ত যাওয়ার সময়ে নবদ্বীপ ফাঁসিতলার গঙ্গার ঘাটে এসে উপস্থিত হয় মা গৌরাঙ্গিনী। সাথে রয়েছে অগণিত ভক্তের দল।বলাই বাহুল্য, বিসর্জনের ঘাটে যথেষ্ট কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফ থেকে, পুজো উদ্যোক্তারাও চেষ্টা করেছিলেন যতটা সম্ভব আইন মানার। তবে মানুষের আবেগের কাছে নবদ্বীপের রাসের এই বিখ্যাত আড়ম্বরে হার মানতে হলো তাদের।