শ্রীমতী বিষ্ণুপ্রিয়াদেবী ছিলেন মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের স্ত্রী। ১৪৯৬ সনের মাঘ মাসের শ্রী পঞ্চমী তিথিতে নবদ্বীপ মালঞ্চপাড়ায় রাজপণ্ডিত সনাতন মিশ্রের ঘরে জন্ম হয় বিষ্ণুপ্রিয়াদেবীর। পরবর্তীতে নিমাই পণ্ডিতের প্রথম পত্নীবিয়োগের পর সেই বিষ্ণুপ্রিয়াকে পুত্রবধুরূপে বেছে নিয়েছিলেন স্বয়ং শচীদেবী। নবদ্বীপের পশ্চিমপ্রান্তে ছোট্ট হল্ট স্টেশনটি বিষ্ণুপ্রিয়ার নামে নামাঙ্কিত। এই হল্ট স্টেশন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই বিষ্ণুপ্রিয়ার জন্মভিটে।
advertisement
আরও পড়ুন: দাঁত মাজার পরেও মুখে দুর্গন্ধ! কেন হয় জানেন? সহজ কিছু উপায়ে দূর করুন মুখের দুর্গন্ধ!
ইতিহাস সাক্ষী রেখে সেই সময়ের কোনও চিহ্ন এখন আর অবশিষ্ট নেই। নবদ্বীপে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক এলেও তাঁদের বেশিরভাগের কাছে অবহেলিতই থেকে গেছে বিষ্ণুপ্রিয়ার এই জন্মভিটে৷ বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীও থেকে গিয়েছেন ইতিহাসের অন্তরালে। নবদ্বীপ শহর হেরিটেজের তকমা পাওয়ায় শহরের ঐতিহ্যবাহী শতাধিক স্মারকের তালিকায় দ্বিতীয় নামটাই ছিল বিষ্ণুপ্রিয়ার জন্মভিটের। কিন্তু সেটা সংরক্ষণের কোনও সরকারি উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এমনটাই জানালেন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: কুকুরটি কামড়াতে পারে কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন? কামড় খাওয়ার আগে জানুন
এলাকার মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের উদ্যোগে জন্মভিটেয় গড়ে উঠেছে শ্রী শ্রী বিষ্ণুপ্রিয়াদেবীর জন্মস্থান মন্দির। যা এখনও পর্যটকদের দৃষ্টি সেভাবে আকর্ষণ করতে পারেনি। এই মন্দিরেই আছে গৌরাঙ্গ-বিষ্ণুপ্রিয়া যুগল মূর্তি যা নবদ্বীপ ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছে উপেক্ষিতই থেকে গেছে। আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই সরকার থেকে দ্রুত নবদ্বীপের গৌরবান্বিত এই মন্দিরের সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Mainak Debnath






