ঘটনাটি নদিয়ার তাহেরপুর থানার অন্তর্গত বাদকুল্লায়। দেব বিশ্বাসের বাবা অমল বিশ্বাস হোটেল ব্যবসায়ী। অপূর্ব দাসের বাবা অসীম দাস সবজি ব্যবসায়ী। দু’জনেরই বাড়ি উত্তর আশ্রমপাড়া এলাকায়, দু’জনেই ১৪ বছর বয়সী এবং বাদকুল্লা ইউনাইটেড একাডেমির অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
কিছুটা দূরে শান্তিপুর থানার অন্তর্গত বোয়ালিয়া বাগানপাড়া এলাকার ছাত্র সায়ন সরকার আরবান্দি নেতাজি বিদ্যাপীঠের ছাত্র। ওই দুই ছাত্রের সঙ্গে সায়ন গতকাল সকাল ৮ টায় বাদকুল্লা সুরভী স্থানে গৃহ শিক্ষকের বাড়ি পড়তে যাওয়ার নাম করে বের হয়। প্রত্যেকেই একটি জামা এবং প্যান্ট সঙ্গে নিয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। পাশাপাশি, দেব বিশ্বাস একটি চিরকুটে মাকে লিখে গিয়েছে, দশ বছর বাদে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তবে ফিরবে, না বলে চলে যাওয়ার জন্য সে দুঃখিত। তার বাবার এটিএম কার্ড থেকে ২ হাজার টাকা তোলা হয়েছে সকাল আটটা নাগাদ, যা বোঝা যায় পরবর্তীতে। বাকি দুই ছাত্র কোনও টাকা বা বাড়ি থেকে অন্য কিছুই নিয়ে যায়নি বলে জানিয়েছে পরিবার।
advertisement
গতকাল থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন, শহরের আনাচকানাচ, আত্মীয়-স্বজন-বন্ধু-বান্ধবদের কাছে খোঁজ নিয়েও মেলেনি ৩ ছাত্রের হদিস। তিন পড়ুয়ার পরিবার-ই মনে করছেন তাঁদের ছেলেদের আচমকা পলায়নের নেপথ্যে রয়েছে কোনও দুষ্টচক্র। আজ, শুক্রবার দেবু এবং অপূর্বর পরিবার তাহেরপুর থানা এবং সায়নের পরিবার শান্তিপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
Mainak Debnath






