রাঙাপানির বাসিন্দা জগন্নাথ সরকার বহু বছর ধরে মাছ বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে এই বাঁশি বাজানোর কাজটি করে চলেছেন। তাঁর কাছে মাছ বিক্রি আর বাঁশি বাজানো—দুটোই জীবনের অঙ্গ। বাজারে ক্রেতাদের ভিড় একটু কমলেই, কিংবা বিক্রির ফাঁকে ফাঁকে, সেখানেই বসে তিনি বাঁশির সুরে ভরিয়ে দেন চারপাশ।
আরও পড়ুন: ৪৮ হাজার টাকা বেতন! আকর্ষণীয় চাকরির সুযোগ করে দিচ্ছে ZSI, আবেদনের জন্য হাতে সময় খুব কম
advertisement
জগন্নাথ সরকার মূলত বাজান মোহন বাঁশি—প্রাচীন এই বায়ু বাদ্যযন্ত্র সাধারণত ফাঁপা বাঁশ দিয়ে তৈরি। ঐতিহ্যগতভাবে এতে ছয় বা সাতটি আঙুলের ছিদ্র থাকে। সেই বাঁশির সুরে কখনও ভেসে ওঠে লোকসঙ্গীতের আবেশ, কখনও আবার নামকীর্তনের ভক্তিমূলক সুর। শুধু বাজারেই নয়, এলাকার বিভিন্ন নামকীর্তন অনুষ্ঠানেও বাঁশি বাজান তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মাছ বিক্রি করতে করতে এমনভাবে বাঁশি বাজানো—এই দৃশ্য রীতিমতো অবাক করে বাজারে আসা ক্রেতা ও অন্যান্য বিক্রেতাদের। অনেকেই দাঁড়িয়ে পড়েন, কেউ মোবাইলে ভিডিও করেন, কেউ আবার কেনাকাটার ফাঁকে একটু থেমে উপভোগ করেন সেই সুর। নিজের এই ব্যতিক্রমী অভ্যাস নিয়ে জগন্নাথ সরকারের বক্তব্য খুবই সহজ। তিনি বলেন, “বাঁশি বাজাতে আমার ভাল লাগে, তাই বাজাই। মাছ বিক্রি তো পেটের জন্য, আর বাঁশি বাজানো মনের জন্য।” রাঙাপানি বাজারের ব্যস্ততার মাঝেই তাই জগন্নাথ সরকারের বাঁশির সুর হয়ে উঠেছে এক আলাদা গল্প—যেখানে জীবিকার সঙ্গে জড়িয়ে আছে শিল্প, আর কোলাহলের মধ্যেও জন্ম নেয় শান্তির মুহূর্ত।





