সম্প্রতি রাজ্য সরকারের সেচ দফতরের অনুমোদন মিলেছে। নদী সংস্কারের ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে। এবার সেই সুরধ্বনি নদীতে শুরু হচ্ছে সংস্কারের কাজ। প্রাথমিকভাবে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে শুরু হবে সংস্কার, বলে জানা যায় প্রশাসনিক সূত্র মারফত। সম্প্রতি সংস্কারের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন নদিয়ার শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী। উপস্থিত ছিলেন সেচ দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকগণ। নদিয়ার শান্তিপুরের উপর দিয়ে বয়ে গেছে সুরধ্বনি নদী। মিশেছে গঙ্গা নদীতে। ইতিহাস বলে এই সুরধ্বনি নদী বেয়ে শান্তিপুরের একটি গাছ তলায় তপস্যায় বসে ছিলেন অদ্বৈত আচার্য। সেই কারণে শান্তিপুরের বাবলায় অদ্বৈত আচার্য নামে অদ্বৈত পাঠ মন্দির স্থাপিত হয়। শুধুমাত্র দেশ নয় বহু বিদেশের ভক্তরাও দর্শন করতে আসেন এই মন্দির। এবার সেই স্মৃতি বিজড়িত সুরধ্বনি নদীতে জেসিবি দিয়ে মাটি খোঁড়াখুড়ির কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী।
advertisement
আরও পড়ুন: বসিরহাটের শহিদ দীনেশচন্দ্র মজুমদারের বাড়িকে হেরিটেজ ঘোষণা করার দাবি!
সংস্কারের ক্ষেত্রে তবে কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী। তিনি বলেন, “আমার এই নদী সংস্কার নিয়ে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে বহুবার আলোচনা হয়। কিন্তু বর্তমানে এই সুরধ্বনি নদীতে অনেকটা উঁচু হয়ে যাওয়ার কারণে বহু চাষি চাষ আবাদ করেন। সেইসব চাষিদের জন্য অন্য কোনও ব্যবস্থা না করে সংস্কারের কাজে হাত লাগানোর সমস্যা হচ্ছে। সেই কারণে মূলত ঘোড়ালিয়ার পালপাড়া এলাকায় নদীর শেষ থেকে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে, পর্যায়ক্রমে গ্রাউন্ড সার্ভের ভিত্তিতে কাজ এগিয়ে চলবে বিভিন্ন পরিস্থিতি অনুযায়ী। তাই কত চওড়া হবে কোন পর্যন্ত কাজ হবে সে সমস্ত সেচ দফতরের আধিকারিকরাই বলতে পারবেন। তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুরধ্বনি নদী বাঁচানোর, সদিচ্ছায় ব্যয় বরাদ্দ এবং কাজ শুরু হয়েছে।” পরিবেশ ভাবনা মঞ্চের কর্মীরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন!
Mainak Debnath