নদিয়ার শান্তিপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ড সহ বেলঘড়িয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের গবার চর সহ ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী এলাকায় বর্তমানে বসবাস করেন প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি পরিবার। বিগত দিনেও এঁরা বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন, নদীর পাড় ভাঙনের যন্ত্রণায় অনেকেই ভিটে মাটি ত্যাগ করে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন৷ কিন্তু, এবার নদীর পাড় ভাঙনের আতঙ্কই শুধু নয়, সরাসরি বন্যা হওয়ার আতঙ্কে এখন রাতের ঘুম উড়েছে ওই তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার পরিবারের।
advertisement
আতঙ্কের সুরে তীরবর্তী এলাকার মানুষজন জানাচ্ছেন, অনেকের বাড়িতেই ছোট ছোট শিশুর রয়েছে, রয়েছে গৃহপালিত পশু, এই মুহূর্তে যদি বন্যা হয় তাহলে তারা কোথায় যাবেন! মাথা গোঁজার জন্য ঠাঁই নিতে হবে কোনও না কোনও জায়গায়। কিন্তু এমনিতেই তাঁরা দিনমজুর৷ দিনে দিনে কাজ করে সংসার চালান৷ এর উপরে যদি আবার বন্যা হয়, তাহলে সর্বস্বান্ত হতে হবে তাঁদের। যদিও শুধু নদীর দিকে তাকিয়ে রয়েছে এলাকার মানুষ, কখন নদীর জল উপচে ভিটে মাটিতে ঢুকে পড়ে। নদীর পাড় ভাঙন রোধে কাজ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই, কিন্তু অতি ভারী বৃষ্টির কারণে এবং নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় তা এখন সম্পূর্ণ বন্ধ।
আরও পড়ুন: বীভৎস অবস্থা উত্তরবঙ্গের! রাজ্যের একাধিক জেলায় জারি রেড অ্যালার্ট, কবে থামবে দুর্যোগ!
আতঙ্ক শুধু একটাই, একদিকে যেমন নদীর পাড় ভাঙন, অন্যদিকে, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা। যদিও এখন সবই সময়ের অপেক্ষা, তবে এখন ঈশ্বরের উপরেই ভরসা রাখছেন তীরবর্তী এলাকার মানুষ।
Mainak Debnath