ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে ছোট্টু। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রানাঘাট হাসপাতালে, সেখানে ছোট্টুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকেরা কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে স্থানান্তর করে। পরিবারের দাবি, ছোট্টু সর্দারের এখন মুখ দিয়ে রক্ত উঠছে, এবং কথাও বলতে পারছে না, এক প্রকার হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ছোট্টু। মা মায়া সর্দারের অভিযোগ, তার বৌমা সংসার করতে চায় না, তাই ছেলেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে মদের সঙ্গে ঘাস মারার ওষুধ খাইয়ে দিয়ে খুন করার চেষ্টা করেছে। অন্যদিকে ছোট্টু সর্দারেরবৌদি মাধবী সরদারের অভিযোগ, তার জায়ের অন্য কোথাও সম্পর্ক রয়েছে, সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতেই তার দেওরকে ঘাস মারার ওষুধ খাইয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করেছে যা নমিতা সর্দার।
advertisement
আরও পড়ুন: পুকুর থেকে পাওয়া যায় তিন দেবীকে! পুজোর বাসনও প্রতি বছর ভেসে উঠত জলে! অলৌকিক ঘটনা
যদিও কয়েক বছর আগে নমিতার সঙ্গে দেখাশোনা করে বিবাহ হয় ছোট্টু সর্দারের। দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালায় ছোট্টু। অনেকদিন ধরেই স্ত্রী নমিতা সর্দারের সঙ্গে খুব একটা ভাল সম্পর্ক ছিল না ছোট্টু সর্দারের, কিন্তু সংসারে কখনও অশান্তি লক্ষ্য করেনি তারা। তবে হঠাৎই নিজের স্বামীকে মদের সঙ্গে ঘাস মারার ওষুধ খাইয়ে এইভাবে যে প্রাণে মারার চেষ্টা করবে তা কখনও স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি বৌদি মাধবী সরদার ও মা মায়া সর্দার। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী নমিতা সর্দারের শাস্তির দাবিতে আজ শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছোট্টুর পরিবার। ছোট্টুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে তদন্তে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
Mainak Debnath