হোম /খবর /হাওড়া /
পুকুর থেকে পাওয়া যায় তিন দেবীকে! পুজোর বাসনও প্রতি বছর ভেসে উঠত জলে! অলৌকিক ঘটনা

Howrah News: পুকুর থেকে পাওয়া যায় তিন দেবীকে! পুজোর বাসনও প্রতি বছর ভেসে উঠত জলে! অলৌকিক ঘটনা

X
গ্রামের [object Object]

Howrah News: যুগ যুগ ধরে গোটা গ্রাম আগলে রেখেছেন মা! অলৌকিক কাহিনিতে অবাক হবেন!

  • Hyperlocal
  • Last Updated :
  • Share this:

হাওড়া: যুগ যুগ ধরে গোটা গ্রাম আগলে রেখেছেন মা। গ্রামে তিনিই ছিলেন প্রধান দেবতা। তার পুজো ছাড়া অন্য পুজো সেভাবে সাড়ম্বরে হতো না, অন্য দেব দেবীর মূর্তি নিয়ে আসা একেবারে নিষিদ্ধ ছিল। একান্ত পুজো করতে হলে গ্রামে চন্ডী মায়ের মন্দিরের সামনে ঘট পুজো হতো। গ্রামে কখনও অন্য দেব-দেবী মূর্তি নিয়ে এসে পুজো অনুষ্ঠিত হয়নি আগে। এমন বিস্ময়কর ঘটনা উলুবেরিয়া-১ ব্লকের চন্ডীপুর। মা চন্ডী শত শত বছর ধরে সেখানে পুজিত হচ্ছেন। গ্রামের চন্ডী মায়ের অবস্থানকে কেন্দ্র করেই গ্রামের নামকরণ। এই মায়ের প্রতিষ্ঠাকাল সম্পর্কে নির্দিষ্ট জানা যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠাকাল যে বহু বছর আগের তা নিয়ে কোন মত পার্থক্য নেই।লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে, গ্রামের মধ্যস্থ চন্ডী মন্দিরের সামনেই মায়ের পুকুর। সেই পুকুরেই নাকি তিন দেবীকে একসাথে পাওয়া গিয়েছিল।

এই তিন দেবীর মধ্যে সর্ববৃহৎ মা চন্ডী, মাঝের শীতলা ও কনিষ্ঠ মনসার মূর্তি পাওয়া গিয়েছিল। সেই থেকে গ্রামে এই তিন দেবীর পুজো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে কবে থেকে সূচনা হয়েছিল। তাঁর নির্দিষ্ট কাল সম্পর্কে অজানা সকলেরই। সে সময় অলৌকিক সব ঘটনা ঘটত মায়ের কৃপায়। লোক মুখে প্রচলিত রয়েছে। পুজোর প্রয়োজনীয় বাসন পুকুর ঘাটে লিখে জমা দিলে। মায়ের কৃপায় পরদিন উঠে আসত। সেই সমস্ত বাসনপত্র পুজোর কাজে লাগত। আবার পুজো শেষে যথাযথ পুকুরের ঘাটে ডুবিয়ে দিলে আপনা থেকে চলে যেত।

আরও পড়ুন: সুপার ফুড ছাতু! রোজ খান! বাড়তি ওজন থেকে চুলের সমস্যা! সব থাকবে দূরে

যদিও স্থানীয়রা জানায় তারা গ্রামের বয়স্ক মানুষদের মুখে শুনেছেন। সেই প্রথা বা ঘটনা বর্তমানে আর দেখা যায় না। সেসময় গ্রাম জুড়ে অন্য কোন মূর্তি পুজোও হতো না। এই মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সাগর চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি। সারা বছর নিত্য দিনের পুজো অনুষ্ঠিত হয় নিয়ম মেনে। গ্রামে চন্ডীমায়ের সেবাইত রয়েছেন বংশ-পরম্পরায়।

রাকেশ মাইতি

Published by:Piya Banerjee
First published:

Tags: Howrah news, Puja