দুই দলের দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড় সমন্বয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলো নবদ্বীপ মিলন সংঘ (Nadia News)। প্রথমার্ধে মিলন সংঘ এক শূন্য গোলে এগিয়ে গেলেও, দ্বিতীয়ার্ধের সমতা ফেরায় নবদ্বীপ তরুণ সংঘ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। পুনরায় আরও একটি গোল করে ২-১ গোলে পরাজিত করে সপ্তম বর্ষ সকার কাপ ছিনিয়ে নিল সেই মিলন সংঘ। এদিন জয়ী দলের হাতে উইনার্স ট্রফি ও নগদ এক লক্ষ টাকা তুলে দিলেন নবদ্বীপের বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহা ও পৌর প্রশাসক বিমান কৃষ্ণ সাহা।
advertisement
যদিও কোভিড বৃদ্ধির জন্য দর্শক সমাগম না করে নবদ্বীপ বিবেকানন্দ স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলাটি আয়োজন করেছিল নবদ্বীপ পৌরসভা। বাড়িতে বসেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং স্থানীয় কেবল চ্যানেলের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার দেখল নবদ্বীপবাসী (Nadia News)। প্রতিবছরই নবদ্বীপের রাস যাত্রার পরেই সকার কাপ ঘিরে প্রত্যেকটি ক্লাবের উন্মাদনা শুরু হয়ে যায় মহাপ্রভুর তীর্থস্থান নবদ্বীপে। গত ২৮ নভেম্বর থেকে নবদ্বীপের ২৪ টি দলকে নিয়ে শুরু হয়েছিল নবদ্বীপ মিউনিসিপাল সকার কাপ। সকার কাপ এর মূল লক্ষ্যই ছিল তীর্থ নগরী নবদ্বীপের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মাঠমুখী করা। নবদ্বীপের বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহা এবং পৌর প্রশাসক বিমান কৃষ্ণ সাহা মস্তিষ্কপ্রসূত এই চিন্তার ফলে গত সাত বছর ধরে নবদ্বীপের ফুটবল উন্মাদনা বেড়েছে। সকার কাপ শেষে উদ্যোক্তাদের তরফে বিগত সাত বছরের সকার কাপের সম্পাদক সুজিত সাহা জানান, "সকার কাপকে ঘিরে নবদ্বীপবাসী যেভাবে সাড়া দিয়েছে, তাতে আমরা নবদ্বীপ বাসীর কাছে ঋণী। কোভিড বিধির কারণে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে এবার ফাইনাল খেলা সম্পন্ন করতে হয়েছে আমাদের। তবুও মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। স্টেডিয়ামের বাইরে ছিল অসংখ্য দর্শক। স্টেডিয়াম লাগোয়া মানুষের বাড়ির ছাদে অনেক মানুষ উঠে পড়েছিল। তাদের নামাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। ফাইনালের পর দিন থেকেই পরের বছরের সকার কাপের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যায় নবদ্বীপে"।
Mainak Debnath