সরার ছাঁচে পিঠে তৈরি হয়। এই পিঠের স্বাদে অনন্য ছোঁয়া আনে খেজুরের গুড়! আর মাজদিয়ার খেজুরের গুড় জগৎজোড়া বিখ্যাত। ভোজনরসিক বাঙালির আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে এই সরা পিঠে দেওয়া-নেওয়া চলে। পিঠে দেওয়া-নেওয়ার এই রীতি আলাদা মাত্রা এনে দেয়।
পৌষ পার্বণ উপলক্ষে মাটির সরা তৈরি করতে ব্যস্ত কৃষ্ণগঞ্জের মহিলা মৃৎশিল্পীরা। পিঠেপুলির দিন বা পৌষ পার্বণের সময় ক্রমশই এগিয়ে আসছে। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এর মহিলা মৃৎশিল্পীরা রোজগারের আশায় এবারও তৈরি করছেন মাটির রকমারি সরা। যদিও এই ধরনের পেশা তাঁদের বহু পুরনো। বহু বছর ধরে এই ধরনের কাজ করেই সংসার চালাচ্ছেন তারা। শীতের সময়টা বাদ দিলে তাঁরা মূলত মাটির বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে থাকেন। এইবারও সেই কাজে ভাটা পড়েনি।
advertisement
আরও পড়ুন : দিনেও জ্বলছে গাড়ির হেডলাইট, কুয়াশায় ঢাকা আলিপুরদুয়ার কাঁপছে ঠান্ডায়
তবে গত কয়েক দিন ধরে শুধু মাটির দু'ধরনের সরা তৈরি করে চলেছেন। তাঁরাই জানালেন, মাটির দাম বেড়েছে। কিন্তু বিক্রির সময় সেইভাবে দামও পান না। তবুও সংসার চালাতে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মাটির কাজ করে চলেছেন।
আরও পড়ুন : বাড়ির পাশে চলছিল ক্রিকেট ম্যাচ, বিড়ি বাঁধতে বাঁধতেই মহিলা ধরলেন ক্যাচ! পেলেন পুরস্কার
এমনই এক সরা প্রস্তুতকারী জানালেন, যে হারে মাটির দাম বেড়েছে সে হারে লাভ হয় না। তবুও এখনও বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে চলেছেন। যদিও নতুন প্রজন্ম আর এই কাজে আসতে চায় না। প্রতিটি সরার দাম বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। পাইকারি বিক্রেতারা এসে বাড়ি থেকে এই সরা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় বিক্রির জন্য।