প্রতিটি ঘরে লক্ষ্মী পুজো হয় সেখানে। দুর্গা পুজোয় যেমন আত্মীয় স্বজন দেশ বিদেশ থেকে বাড়িতে আসেন, নতুন জামা কাপড় পরে সারা রাত ঠাকুর দেখেন, ঠিক তেমনই লক্ষ্মী পুজোয় বাংলাদেশের ঢাকা, ত্রিপুরা, রাজ্যের মধ্যে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দিনাজপুর-সহ সারা রাজ্যের মানুষ এই ছয়দিন নতুন পোশাক পরে ঠাকুর দেখতে বের হন, এমনটাই জানালেন হিঙনাড়া গ্রামের বাসিন্দা নিত্যানন্দ বৈরাগী।
advertisement
আরও পড়ুন: কেবল ঘুমের মধ্যে দুঃখ গ্রাস করে না, মৃত্যুর আগে শেষ পোস্ট ‘স্ত্রী’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রী রেঞ্জুষার!
প্রত্যেক বাড়িতে পিঠেপুলি, ছাতু ও নাড়ু হবে এবং অতিথিদের হাতে তুলে দেবেন তাঁরা। গরিব, ধনী সবার ঘরে লক্ষ্মী পুজো হয়। দরাপপুরের মেলা কমিটির সহ সম্পাদক অজয় দাস বলেন, “চাকদহ ব্লকের এই অঞ্চলটা এখন লক্ষ্মী পুজোর জন্য সবাই চেনে। লক্ষ্মী পুজোর জন্য বিখ্যাত দরাপপুর, ভল্লবপুর, হরিআঁখী, চৌগাছা। দুর্গা পুজোর প্যান্ডেল ভেঙে তবেই লক্ষ্মী পুজোর প্যান্ডেল হয়। দু’দিনের মেলা বসে।
মূলত কৃষক শ্রেণির পুজো। নতুন ধান ওঠে, এই সময় সেই ধানই লক্ষ্মীর চরণে দিয়েই চাষের কাজ শুরু হয়। সুতরাং বলা যেতে পারে শুধুমাত্র দুর্গাপুজোই নয় দশমীর কয়েক দিন পরেই লক্ষ্মী পুজো নিয়েও মাতোয়ারা সমস্ত বাঙালি।
Mainak Debnath