বারবার বলেও হয়নি কোনও কাজ। তাই শেষ পর্যন্ত শান্তিপুর দু’নম্বর কলোনির স্ত্রীর বাপের বাড়িতে জামাইষষ্ঠীর দিন শাশুড়ির জন্য শাড়ি, আম-কাঁঠাল, দই মিষ্টি, ছেলের জন্য লজেন্স বিস্কুট নিয়ে আসলেই, স্ত্রী চলে যায় বাড়ি ছেড়ে। দরজায় তালা দেয় শাশুড়ি এবং শালা। বহু ডাকের পর, শাশুড়ির দেখা মিললেও প্রণাম করতে গিয়ে খেতে হল ইঁটের বাড়ি। ছেলেকে জড়িয়ে ধরতে গেলে, শালা মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তা ভেঙে দেয়। প্রতিবেশীরা দাঁড়িয়ে দেখলেও ওই পরিবারের প্রতি সকলেরই বিতৃষ্ণা, তাই প্রকাশে কেউ মুখ না খুললেও, তাদের গুঞ্জন জামাইটা খুব ভাল।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার থেকে দিঘাতেই মিলবে গোয়ার সব মজা! পর্যটকদের জন্য বিরাট চমক!
এ প্রসঙ্গে অনুপ বাবু বলেন, লোকের বাড়ি বাড়ি গ্যাস দেওয়ার কাজ করতাম আমি, কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে বউকে ম্যানেজমেন্ট এবং এমএ পাস করাই। আমার সুপারিশের তার বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি হয়। সেখানেও পরকিয়াতে জড়িয়ে পড়ে, তখন থেকে শুরু, পরবর্তীতে প্রতিবেশী একটি ছেলের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক হোয়াটসঅ্যাপে দেখে ফেলি আমি। বিষয়টি শ্বশুরবাড়িসহ স্থানীয় কাউন্সিলর বিধায়ক সকলকে জানিও মেলেনি কোনও ফল। তাই বাধ্য হয়েই আজকের এই সিদ্ধান্ত। খোরপোষ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য লিখিত এক লক্ষ টাকা নিয়েও তাকে আইনি সমস্যায় জর্জরিত করে রাখার প্রতারণার জন্য তিনি এই ধর্ণা। যদিও এ বিষয়ে অনুপ বাবুর শাশুড়ি এবং শালাকে বারংবার প্রশ্ন করলেও ক্যামেরার সামনে তারা মুখ খোলেননি।
Mainak Debnath