এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে খোলা বাজারে পসার সাজিয়ে বিভিন্ন ধরনের রাখি বেচাকেনা করতে দেখা যায় দোকানিদের। তারমধ্যে ফুল দিয়ে তৈরি রাখি যেমন রয়েছে, রয়েছে রকমারি রংবেরঙের জরি,পুঁথি, ছোট বড় কাঁচ, পাথর দিয়ে তৈরি রাখি৷ এছাড়াও মাটির উপর টেরাকোটার তৈরি রাখির সম্ভারও রয়েছে। রাখি বন্ধন উৎসব হয়ে গেলে সাধারণত এইসব রাখি হাত থেকে খুলে ফেলা হয়। অনেকে আবার সেগুলি ঘর সাজানোর জন্য কিছুদিনের সংরক্ষণ করে রাখেন। আবার অনেকে তাও করেন না। একটা সময় ব্যবহৃত সেই রাখি গুলি হারিয়ে যায়। কিন্তু সেই রাখি হাতে পড়ার পর তা খুলে নিয়ে সরাসরি খেয়ে ফেলা যায় এমন ঘটনা কিন্তু নজিরবিহীন। সেই রকমই রাখি তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর রানা প্রতাপ লেনের বাসিন্দা রিয়া বিশ্বাস।
advertisement
আরও পড়ুন Fast Food Momo bad for health: চপ বা শিঙাড়া নয়, সবচেয়ে ক্ষতিকর স্ট্রিট ফুড মোমো, কেন জানুন
রিয়া স্থানীয় ডিএল রায় কলেজ থেকে বাংলায় এমএ পাস করার পর চাকরি খোঁজার পাশাপাশি ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের গয়না থেকে শুরু করে রকমারি জিনিষ তৈরি করেন। এছাড়াও সেলাইয়ের মাধ্যমে জামা কাপড়ে কলকা আঁকেন। অবসর সময়ে নিজের শখ মেটানোর পাশাপাশি এইসব ছোটখাটো হস্তশিল্পের মাধ্যমে রোজগারও করেন তিনি। রাখি বন্ধন উৎসব উপলক্ষে এবার তিনি তৈরি করেছেন কাসটমাইজ লজেন্সের রাখি। যা কিনা ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে, কৃষ্ণনগর ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায়। লজেন্সের রাখি তৈরি করে ভাল অর্ডার পাচ্ছেন বলেও জানান রিয়া।
তিনি বলেন, “অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা লজেন্স খেতে পছন্দ করেন। মূলত সেইসব ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কথা ভেবেই লজেন্সের রাখি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।” রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে খোলা বাজারে। ইতিমধ্যেই লজেন্সের রাখি সংগ্রহ করতে একাধিক জায়গা থেকে অর্ডার পেয়েছেন তিনি। লজেন্সের রাখী হাতে যেমন পড়া যাবে তেমনই লজেন্স খেয়ে নিলেও থেকে যাবে রাখি। এই রাখি হাতে পেয়ে খুশি ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী ছেলে মেয়েরা।
প্রথমে বিভিন্ন মাপের ছোট ছোট কার্ডবোর্ড কেটে তার ওপর কাপড় লাগানোর পর সেই কার্ডবোর্ডের মধ্যে শুভ রাখি পূর্ণিমা বা প্রিয় ভাই বোনের নাম লিখে তার ওপর আঠা বা সেলাই করে লজেন্স বসিয়ে তিনি তৈরি করেছেন অভিনব এই রাখি। তার তৈরি লজেন্সের রাখি প্রতি পিস হিসেবে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ বা ২৫ টাকার বিনিময় সকলের সংগ্রহ করতে পারবেন বলেও এই দিন জানান রিয়া বিশ্বাস। এছাড়াও আগামী দিনেও তার তৈরি হস্তশিল্পের মধ্য দিয়ে সকলকে নতুন নতুন চমক দিতে চান রিয়া।
Mainak Debnath