মঙ্গলবার সাতসকালে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বৃদ্ধ দম্পতির। সূত্রের খবর, গাংনাপুর থানার অন্তর্গত এরুলি গ্রাম থেকে বাইকে করে বৃদ্ধ বাবা-মাকে চোখের ডাক্তার দেখাতে রানাঘাটে নিয়ে যাচ্ছিলেন সুমন পাল। কিন্তু নোকারি ফুলবাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি অস্বাভাবিক উঁচু বাম্পার পেরোতে গিয়ে বাইকের উপর নিয়ন্ত্রণ হারান সুমন। সেই সময় উল্টো দিক থেকে একটি লরি আসছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি সেই লরির তলায় ঢুকে যায়। ছেলে অক্ষত থাকলেও লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধ বাবা ও মায়ের। মৃতদের নাম নারায়ণচন্দ্র পাল (৭৬), মীরা পাল (৬৫)।
advertisement
আরও পড়ুন: যার জন্য অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা আটকেছিল সেই শিবঠাকুরের গ্যারাজে নতুন একলাখী বাইক!
এই ঘটনার পরই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই উঁচু বাম্পারের জন্য এর আগেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাম্পারটি ভেঙে ফেলার বিষয়ে প্রশাসনকে বারবার বললেও কোনও কাজ হয়নি। ওই বৃদ্ধ দম্পতির মৃত্যুর পিছনে বাম্পারই দায়ি বলে দাবি করেন এলাকাবাসীরা। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, অবিলম্বে এই বাম্পার ভেঙে ফেলতে হবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় কুপার্স ফাঁড়ির পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এরপর ওই বৃদ্ধ দম্পতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ ঘাতক লরিটিকে আটক করেছছ। যদিও দুর্ঘটনার পরই লরির চালক পালিয়ে যায়। এদিকে চোখের সামনে বাবা-মাকে গাড়ির তলায় পিষে যেতে দেখে কথা হারিয়েছেন ছেলে সুমন পাল। তিনি কার্যত শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন।
মৈনাক দেবনাথ