আরও পড়ুন: বিএসএফ ও পুলিশের যৌথ তৎপরতায় দুই পৃথক সীমান্ত থেকে গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি
ওই তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের বাড়ির মেয়ে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল। তবে কিছুদিনের মধ্যেই স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে ফিরে আসে। অনেকদিন হল এখানেই থাকে থাকে। মেয়ের বাড়ির অভিযোগ, ছেলের পরিবার বেশ কিছু দুষ্কৃতী নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা করেছিল মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তারা রীতিমতো গায়ের জোড় খাটিয়ে মেয়েকে তুলে নিয়ে যেতে চায়। সেইসময় ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রচন্ড মারধর করে। এই ঘটনায় সাত জন আহত হন। এমনকি ওই তরুণীর পরিবারের এক ৭০ বছরের বৃদ্ধাকেও প্রচন্ডভাবে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
advertisement
ছেলের পরিবারের মারধরের সময় ওই তরুণী এবং তার বাড়ির সদস্যরা চিৎকার করতে শুরু করলে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে আসেন। তাঁরা অভিযুক্তদের সকলকে তাড়া করেন। বেগতিক বুঝে ওই যুবক ও তার লোকজন গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের সঙ্গে আসা তিনজনকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। এরপরই খবর দেওয়া হয় কৃষ্ণগঞ্জ থানায়। পুলিশ এসে গ্রামবাসীদের হাতে আটকে থাকা তিনজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আক্রান্ত তরুণীর পরিবার থানায় গিয়ে এফআইআর দায়ের করে। আক্রান্তরা সকলেই কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।