তবে লাইন ব্রডগেজ হলেও ট্রেন সংখ্যা দিনের পর দিন কমতে থাকে সেই রুটে বলে এমনটাই জানাচ্ছেন স্থানীয় দিগনগরের বাসিন্দারা। এরপর রাতের দিকে একটি ট্রেন দেওয়া হলেও সেই ট্রেনটি নাকি আজও চলেনি বলেই
অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। আরও দুই জোড়া ট্রেন এই রূট দিয়ে চলাচল করত। তবে করোনাকালে তার মধ্যেও একজোড়া ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এখন সর্বসাকুল্যে একজোড়া ট্রেন চলাচল করে এই রুট দিয়ে।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, দিগনগর থেকে কলকাতার দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। ভারতবর্ষের মধ্যে হয়ত এই রুটটাই প্রথম যেখানে রাজ্যের রাজধানী কলকাতাতে ট্রেনে করে যাওয়া গেলেও সেই রুট দিয়ে ফেরার কোনও ট্রেন নেই। সকাল ৯:৪২ নাগাদ একটি মাত্র ট্রেন এই স্টেশন হয়ে শিয়ালদহের দিকে যায়। কিন্তু সে আর ফেরে না। এবং একটি ট্রেন সকাল ৮:১৫ নাগাদ যায় কৃষ্ণনগরে।
আরও পড়ুন: মাটি কাটতে গিয়ে জার ভর্তি বোমা উদ্ধার! চাঞ্চল্য রেজিনগরে
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, “আমরা টিকিট কেটে পয়সা দিয়েই ট্রেনে উঠব। কেউ বিনা পয়সায় ট্রেনে চড়ে না। এই লাইনটি পাতার সময় আধিকারিকরা সার্ভে করেছিলেন। কোথায় কোথায় গেট বসানো হবে সেটিও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। এখানে আটটি গেট করতে হবে, তার দোহাই দিয়েই বর্তমানে ট্রেনটির গতিবেগ ৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় রাখা হয়েছে। এছাড়া রাতেও আমাদের কোন ট্রেন দিচ্ছে না। দিনের বেলায় সবে ধন নীলমণি একটি ট্রেন চলে। সেটিও হয়ত রেলের উদাসীনতায় কোনও দিন বন্ধ করে দেবে।”
আর সেই কারণেই দিগনগরের এই রেল লাইনের রুটে কলকাতাগামী যাওয়া-আসার ট্রেন বাড়ানোর দাবিতে দিগনগর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সাধারণ মানুষেরা, দিগনগরের প্রধান এবং উপপ্রধান, কৃষ্ণনগর রেল যাত্রী সমিতির কর্ণধার, শান্তিপুর রেল যাত্রী সমিতির সদস্য ও অন্যান্য একাধিক সংগঠনেরা মিলে দিগনগর রেল স্টেশনে সম্মিলিতভাবে একটি আলোচনা সভা করেন। এবং ট্রেন বাড়ানোর দাবিতে এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে তারা রেলের আধারকারীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান।
মৈনাক দেবনাথ