তবে শিশু শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলবে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়ের মাধ্যমে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বেশিরভাগ জায়গায়, বিশেষ করে শহরের দিকে খোলা জায়গা ফাঁকা মাঠ খুবই কম পরিমাণে রয়েছে। খোলা জায়গার অভাবে নিরুপায় হয়ে জেলার কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা, বিদ্যালয়ের উঠোনেই চালু করেন পাড়ার শিক্ষালয় (Nadia Paray Shikshalaya)। তবে জানা যায়, দীর্ঘক্ষন উঠোনের তীব্র রোদে ক্লাস করার ফলে বেশিরভাগ শিশুই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠন পাঠন শুরু হয়েছিল আগেই। প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠন শুরু হয়েছে আজ থেকে, পাড়ায়-পাড়ায় শিক্ষালয় (Nadia Paray Shikshalaya)।
advertisement
প্রায় ২২ মাস পর পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। কোভিড বিধি মেনে খোলা আকাশের নিচে শুরু হয়েছে পঠন পাঠন, তবে সেগুলো অবশ্যই গ্রামাঞ্চলে। শহরাঞ্চলে খোলা মাঠ, উন্মুক্ত আকাশের বড়ই অভাব। তাই স্কুলেরই উঠানে এ ধরনের শিক্ষালয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিভাবকরা এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও তীব্র রোদে শিশুরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে বলে তাদের দাবি (Nadia Paray Shikshalaya)। আর এ কথা মানলেন শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজেরাও। অনেক অভিভাবকই প্রশ্ন করলেন বিদ্যালয়ের বাইরে অমনোযোগী হয়ে পড়ে তারা, এ বিষয়ে অবশ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানান, আপাতত প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক ভাবে কয়েক দিন চলুক, তারপর তা থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকার নিশ্চয়ই নতুন কিছু চিন্তাভাবনা করবেন। আজ এমনই চিত্র উঠে এলো নদিয়ার বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলি থেকে।
Mainak Debnath