আগেকার দিনে দীপাবলিতে বাঙালির ঘরে ঘরে জ্বলে উঠতো প্রদীপ। দাদু ঠাকুমারা মনে করতেন প্রদীপের আলোয় দূর হবে সমস্ত অশুভ শক্তি। আলো এখনও জ্বলে, তবে তা প্রদীপের নয়। প্রদীপ এবং মোমবাতির জায়গা অনেকখানি অধিকার করে দিয়েছে আধুনিক চায়না লাইট। আগেকার মতোই এখনও প্রতিটা বাড়িতেই আলো জ্বলে ওঠে তবে তা প্রদীপ বা মোমবাতির শিখায় নয়, এই আলো উৎপন্ন হয় বিদ্যুতের দ্বারা।
advertisement
চায়না লাইটের রমরমা বাজারের জেরে বাঙালির ঐতিহ্যের প্রদীপ আজ অনেকটাই নিভে গিয়েছে। তবে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের সেক্ষেত্রে ততটা অসুবিধে না হলেও এর ফলে আর্থিক দিক থেকে চরম সংকটে ভুগছেন নদিয়া জেলার একাধিক প্রদীপ বানানো মৃৎশিল্পীরা।
তবে কি কারণে প্রদীপের থেকে মুখ ফিরিয়ে মধ্যবিত্ত মানুষ ঢুকছেন চায়না লাইটের দিকে তা খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, খুবই কম টাকায় এই লাইটগুলো বর্তমানে পাওয়া যায়। বাড়িতে ঝুলিয়ে দিয়ে ইলেকট্রিক বোর্ড থেকে বিদ্যুতের সংযোগ করে দিলেই আলোকিত হয়ে যাচ্ছে গোটা বাড়ি। কিন্তু প্রদীপের ক্ষেত্রে সেটি হয় না, গোটা বাড়ি আলোকিত করতে গেলে লাগে একাধিক প্রদীপ তার সাথে দিতে হয় পোলতে এবং প্রয়োজন মতো তেল। ক্রেতারা জানাচ্ছেন প্রদীপ চায়না লাইটের থেকে অনেকটাই খরচ সাপেক্ষ। সেই কারণেই মধ্যবিত্ত মানুষেরা প্রদীপ ও মোমবাতির বদলে চায়না লাইটের দিকেই ঝুঁকছেন বেশি।
Mainak Debnath