এ বার ওই পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২। গতবারের আসন অর্থাৎ ১৭৭ নম্বর বুথ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সদ্য প্রাক্তন প্রধান সঞ্জিত পোদ্দার ওরফে কালা। আর তাঁর বিরুদ্ধে সিপিআইএম প্রার্থী বেতাই ডঃ বি আর আম্বেদকর কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ার সৌরনীল সরকার।
আরও পড়ুনঃ কোন জেলায় কত বাহিনী? কোন কোন এলাকা স্পর্শকাতর? উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত কমিশনের
advertisement
২১ পেরিয়ে সদ্য ২২-এ পা দেওয়া সৌরনীল কলেজে প্রবেশের পর থেকে সক্রিয় ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল জুড়ে চে, বিমান বসু, দীপ্সিতাদের ছবি। ভাইয়ের প্রার্থী হওয়ার খবর শুনে আঁতকে উঠেছিলেন আইআইটি ধানবাদের পদার্থবিদ্যার গবেষক দাদা। সেই আতঙ্ক ব্যবসায়ী বাবা ও গৃহবধূ মায়ের চোখেও। সব কিছু উপেক্ষা করে নিজের ঘরে একা বসে তখন বুথ ভিত্তিক ভোটের হিসেবে ব্যস্ত সৌরনীল।
ছেলের সিপিআই(এম) প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে বাবা মিল্টন সরকার বলেন, “আমরা ছাপোষা মানুষ। শাসক দলের প্রধানের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে কথা বলার সাহস আমাদের নেই। ছেলের কথা ভেবে খুব চিন্তা হচ্ছে”। মায়ের আশঙ্কা, “ছেলের জন্য আমাদের না এলাকা ছাড়তে হয়!” তরুণ মুখেদের ওপর ভরসা রেখেই এ বার ভোটে লড়ছে বামেরা। এমনকি হেভি ওয়েট আসনগুলোতেও তাদের বাজি এলাকার পরিচিত সামাজিক তরুণ বাম কর্মীরা।
নদিয়া জেলা সিপিআইএমের সম্পাদক সুমিত দে জানালেন, “প্রাক্তন প্রধান সঞ্জিত পোদ্দারের বিরুদ্ধে আমাদের প্রার্থী মেধাবী শিক্ষিত, সাহসী, স্বচ্ছ সৌরনীল। বিকল্পের পথ বামেরাই দেখায়”। তৃণমূল প্রার্থী সঞ্জিত পোদ্দার বলেন, “নিশ্চিত হার বুঝেই একটা বাচ্চা ছেলেকে বলির পাঁঠা করেছে। ওর প্রতি স্নেহ আছে, কিন্তু বামেরা হারা সিটে প্রার্থী করে দিল।”
Mainak Debnath