এবছর আমের ফলন তুলনামূলকভাবে কম। তার ওপর ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই চাষিরা কাঁচা আম গাছ থেকে পেড়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন৷ চাষিদের বক্তব্য, ঝড়ে আম পড়ে গেলে সেই আম সেভাবে আর বিক্রি করা যায় না৷ স্বাভাবিক অবস্থায় যে আম ১৫ থেকে ১৬ টাকায় চাষিরা বিক্রি করেন, ঝড়ে পড়া আম বিক্রি করলে তার হাফ দামও পাওয়া যায় না।
advertisement
এবারে বৃষ্টিপাতের অভাবে গ্রীষ্মকালীন ফলের আমদানি তুলনামূলকভাবে কম। সেই কারণেই রীতিমতো বাধ্য হয়েই আগেভাগে আম চাষিরা কাঁচা আম পেড়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন আড়ৎদারদের কাছে।
একজন চাষি জানান, কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে একাধিক প্রকারের আম চাষ হয়ে থাকে, তার মধ্যে হিমসাগর, ল্যাংড়া বিখ্যাত। এছাড়াও ফজলি, গোলাপখাস, চ্যাটার্জি, আম্রপালি আমেরও চাষ করা হয়ে থাকে। তবে হিমসাগর ও ল্যাংড়া আমের চাহিদা থাকে সবথেকে বেশি৷ সেই কারণেই ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়েই ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পেতে কম দামে আড়ৎদারদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে আম চাষিদের।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর অবস্থিত নিম্নচাপটি রবিবারের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। এটি ভারতের পূর্ব উপকূল থেকে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। শনিবার রাত থেকেই গভীর নিম্নচাপের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এবং রবিবার তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
Mainak Debnath