লিখিত অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে তাহেরপুর থানার পুলিশ। তারা অভিযোগ দায়েরের পরের দিন, অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। বিচারকের কাছে ওই নাবালিকা গোপন জবানবন্দীও দেয়।
আরও পড়ুন: মদ দোকানের সামনে পড়ে দেহ! ব্যাপক চাঞ্চল্য শান্তিপুরে
এই ঘটনার পরই অভিযুক্ত যুবক সুরজিৎ মোদক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। যদিও শেষমেশ পুলিশের পাতা ফাঁদে ধরা দেয় সে। বীরনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবক সম্ভবত দূরে কোথাও পালানোর চেষ্টা করছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই পুলিশ ফাঁদ পেতে তাকে ধরে। সুরজিৎ মোদককে আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
advertisement
উল্লেখ, নদিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায়শই নাবালিকা অপহরণের খবর আসছে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই বহু মেয়ে স্কুল অথবা প্রাইভেট টিউশন পড়তে গিয়ে ফাঁদে পড়ছে। প্রথমে প্রণয়ের সম্পর্কে গড়ে তুলে তাদের বাড়ি থেকে নিয়ে পালায় অভিযুক্তরা। এরপর বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাইরে পাচার করে দেওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে। বারবার একই ঘটনা ঘটলেও তা থেকে বিশেষ কেউ শিক্ষা নেয়নি বলে দেখা যাচ্ছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশ তৎপর হয়ে নাবালিকাদের উদ্ধার করতে সফল হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিভাবকদের অতি কড়া মনোভাবের পরিবর্তে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মত মিশতে হবে। তবেই তাদের মনের অলিগলির হদিশ পাওয়া যাবে। একমাত্র এইভাবেই অল্প বয়সে পাচারের হাত থেকে সন্তানকে রক্ষা করার সম্ভব বলে তাঁরা মনে করছেন।
মৈনাক দেবনাথ